লন্ডন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন (James Anderson)। ২১ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষে ২২ গজকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছেন অ্য়ান্ডারসন। শেষ ম্য়াচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্টে জিতে ৪ উইকেট নিয়েছেন তারকা ইংরেজ পেসার। গার্ড অফ অনারে শেষ ম্য়াচ খেলতে নেমেছিলেন। ম্য়াচ শেষেও নিজের দেশে ও প্রতিপক্ষ দেশের প্লেয়াররা গার্ড অফ অনার দিলেন অ্যান্ডারসনকে। শেষ ম্য়াচে জিমির অধিনায়ক ছিলেন বেন স্টোকস। দীর্ঘ এক দশক প্রায় একসঙ্গে খেলেছেন। প্রিয় সতীর্থের অবসরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন স্টোকসও। চোখের জল চলে এল তাঁর। জিমিকে জড়িয়ে ধরলেন। 


স্টোকস ম্য়াচের পর বলছেন, ''কখনও কখনও ভাষা হারিয়ে যায়। কি কথা বলব, তা বুঝতে পারছি না। আমাকে যদি ১৫ মিনিট সময়ও দেওয়া হয়, আমি হয়ত জিমিকে নিয়ে কথা বলে শেষ করতে পারব না। ওঁর জন্য যা বলব সবকিছুই কম। জিমি ৪১ বছরের একজন। অথচ এখনও বোলার হিসেবে প্রতিদিন নিজেকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।''


ইংল্য়ান্ডের তারকা অলরাউন্ডার আরও বলেন, "যদি একবার জিমির কেরিয়ারের দিকে তাকানো যায়, তাহলেই দেখা যাবে যে ওঁ কিন্তু প্রতিদিন ক্রমেই উন্নতি করে গিয়েছে। নিজের একটা দৃষ্টাষ্ট স্থাপন করেছেন তরুণ ক্রিকেটারদের সামনে। ফিটনেসও বজায় রেখেছে জিমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার জন্য়।''


 






অ্য়ান্ডারসনের অবসরের টেস্টে সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন গাস অ্য়াটকিনসন। নিজে দুই ইনিংসে মিলিয়ে মোট ১২ উইকেট নিয়েছেন। ম্য়াচের সেরাও হয়েছেন তিনি। খেলার শেষে গাসের গলাতেও জিমির বন্দনা। তিনি বলছেন, ''আমি ম্য়াচের সেরা হয়েছি। আবার জিমির এটাই শেষ ম্য়াচ। আলাদাই একটা অনুভূতি কাজ করছে।'' তিনি আরও বলেন, ''ছোটবেলায় লর্ডসে খেলা দেখতে আসতাম। টিভিতেও দেখেছি। জিমি আমার অনুপ্রেরণা ছিলই। ওঁর সঙ্গেই খেলতে পারলাম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে। এটা আমার জন্য দারুণ একটা মুহূর্ত।''


২০০৩ সালে লর্ডসে টেস্টে অভিষেক হয় জিমি অ্য়ান্ডারসনের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে লর্ডসেই নিজের কেরিয়ারের শেষ টেস্টটি খেলতে নেমেছিলেন। ৭০৪ উইকেট ঝুলিতে পড়েছেন তিনি।