মেলবোর্ন: ২২৮/৯ থেকে অস্ট্রেলিয়া ২৩৪ এ অল আউট হতে সময় নিয়েছিল ১০ বল। বুমরাই দিনের শুরুতে নিজের কাজটা নিঁখুতভাবে করে দিয়েছিলেন। ইনিংসে আরও একটা পাঁচ উইকেট ঝুলিতে নিলেন। ভারতের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৪০। চার বছর আগে গাব্বায় ৩২৯ তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। সেই ম্য়াচে ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেছিলেন পন্থ ও গিল। ভারতীয় সমর্থকদের আশা তারই পুণরাবৃত্তি দেখা যাবে। কিন্তু শুরুটা কিন্তু একেবারেই আশাপ্রদ হল না। রান তাড়া করতে নেমে লাঞ্চের আগেই তিন উইকেট খুঁইয়ে বসে আছে ভারত। প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন রোহিত, বিরাট ও কে এল রাহুল। জয় তো দূরের কথা, এখন যেন ম্যাচ বাঁচানোই একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে টিম ইন্ডিয়ার।


আগের দিন ৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে রোহিতের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন লিঁয় ও বোল্যান্ড। এদিন লিঁয়র স্টাম্প ভেঙে দেন বুমরা। ২৪.৪ ওভারের স্পেলে ৫৭ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট নিয়ে নেন তিনি। বেশিক্ষণ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস স্থায়ী হয়নি এদিন। ভারতের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৯২ ওভারে ৩৪০। অর্থাৎ ৩.৭০ করে প্রতি ওভার রান তুলতে হবে। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন রোহিত ও যশস্বী। কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে রীতিমত চাপে রয়েছেন হিটম্য়ান। মেলবোর্ন টেস্টে হেরে গেলে এখানেই হয়ত টেস্ট কেরিয়ারের সমাপ্তি ঘটতে পারে। তবুও শুরু থেকে বেশি সচেতন মনে হচ্ছিল রোহিতকে। ৪০টি বলও খেলে ফেলেছিলেন। কিন্তু এরপরই তাল কাটল কামিন্সের বলে। আচমকাই লেগে শট খেলতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। বলা ভাল বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় মার্শের কাছে। কোনও ভুল করেননি অজি অলরাউন্ডার। কে এল রাহুল ওপেনিংয়ে রান পাচ্ছিলেন এতদিন। এবার শেষ দুটো ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন হতেই যেন তাল কেটে গিয়েছে। খাতা খোলার আগেই কামিন্সের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরলেন। খাওয়াজার হাতে ক্যাচ চলে গেল রাহুলের ব্যাট ছুঁয়ে।


বিরাট কোহলি এরপর নেমেছিলেন জয়সওয়ালকে সঙ্গ দিতে। অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দেওয়ার রোগ তাঁর দীর্ঘদিনের। এই সিরিজেও সেই ভুল করেছেন। পারথের সেঞ্চুরির পর থেকে বিরাটের ব্যাটে রান নেই। এদিন অনেকগুলো বল ছেড়ে দিলেন শুরুতে। কিন্তু অজি বোলাররা যে ফের তাঁকে ফাঁদে ফেলবেন, তা বুঝতে পারেননি। স্টার্কের প্রায় পঞ্চম স্টাম্পে করা হঠাৎ একটি বলে ঠিক সেই খোঁচা দিয়ে বসলেন। বল সোজা চলে গেল খাওয়াজার কাছে। অজি ওপেনার কোনও ভুল করেননি।