চিপক: এক সময় ১৪৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারতীয় ইনিংস। সেই সময় ব্যাটে নেমেই পাল্টা আক্রমণ শানান আর অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। দিনের শেষে তিনি অপরাজিত ১০২ রান করে মাঠ ছাড়লেন। দুরন্ত ইনিংস খেললেন রবীন্দ্র জাডেজাও (Ravindra Jadeja)। তাঁর সংগ্রহ ৮৬ রান। অশ্বিন ও জাডেজার রেকর্ড পার্টনারশিপে ভর করেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের (India vs Bangladesh 1st test) প্রথম দিনে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৯ রান তুলে দিন শেষ করল ভারত। এটি অশ্বিন ও জাডেজার পঞ্চম শতরানের পার্টনারশিপ। তাঁরা ইতিমধ্যেই ১৯৫ রান যোগ করে ফেলেছেন।
টস হেরে প্রথম টেস্টে আগে ব্য়াট করতে নামে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। তবে শুরুতেই বিপত্তি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান মামুদ। তিনি এদিন নিজের অনবদ্য ফর্ম বজায় রেখে ভারতীয় ব্যাটিংকেও ছিন্নভিন্ন করেন। একে একে সাজঘরে ফেরেন রোহিত, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি। গিল তো খাতাই খুলতে পারেননি। দুই সিনিয়ার স্টেটসম্যান রোহিত ও বিরাট উভয়েরই সংগ্রহ ছয় রান। মামুদ ঝড়ে বিপাকে পড়া ভারতীয় দলের ইনিংস সামলান ঋষভ পন্থ ও যশস্বী জয়সওয়াল। মধ্যাহ্নভোজের আগে আর কোনও উইকেট হারায়নি ভারতীয় দল। তিন উইকেটে ৮৮ রান উঠে।
তবে পন্থ মধ্যাহ্নভোজের পরেই সেই হাসানের বলেই ৩৯ রানে সাজঘরে ফেরেন ভারতের তারকা কিপার-ব্যাটার। জয়সওয়াল অবশ্য হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। তবে নাহিদ রানার প্রায় ১৫০ কিমি গতিবেগের বলে খোঁচা দিয়ে ৫৬ রানে আউট হন জয়সওয়ালও। কেএল রাহুল ১৬ রানে আউট হলে ভারতীয় দলের সমর্থকরা তো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। আদৌ দু'শোর গণ্ডি পার করবে তো ভারত? ছিল সংশয়। এই পরিস্থিতি থেকেই পাল্টা লড়াই চালান অশ্বিন ও জাডেজা।
বিশেষ করে অশ্বিন ব্যাটে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। দ্বিতীয় সেশন শেষে অশ্বিন ও জাডেজার ভারতের ইনিংসকে ১৭৬ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। তবে তৃতীয় সেশনে দুই তারকাই দুরন্ত ছন্দে ব্যাটিং করেন। তৃতীয় সেশনে ভারত কোনও উইকেট না হারিয়েই ১৬৩ রান তোলে। এই সেশনেই ম্যাচে ভারতকে বেশ ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: 'আমায় কেন মারছ!', ভারত-বাংলাদেশ টেস্টের প্রথম দিনেই উত্তপ্ত বাদানুবাদ ঋষভ পন্থ-লিটন দাসের