মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেট দল আগামী মাসেই খেলতে নামবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। চেন্নাইয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে প্রথম টেস্ট। মোট ২ টাে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ ভারতের মাটিতে। এই বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই টেস্ট ম্য়াচ খেলতে নেমে সুনীল গাওস্করের মত কিংবদন্তিকে ছুঁয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। সত্তর ও আশির দশকে যেমন গাওস্কর ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট আইকন, তেমনই নব্বইয়ের দশকের পর থেকে সচিন সেই জায়গা দখল করেছিলেন। ২ জনেই কিংবদন্তি। 


টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম প্লেয়ার হিসেবে ১০ হাজার রানের মালিক হয়েছিলেন সুনীল গাওস্কর। ঝুলিতে ৩৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি। যা প্রায় দু দশক ধরে শীর্ষে ছিল। সেই দুটো রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছিলেন সচিন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সফরে টেস্ট সিরিজে খেলতে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ঢাকার বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিল ২ দল। সেই ম্যাচেই গাওস্করের ৩৪ টেস্ট সেঞ্চুরির নজির ছুঁয়েছিলেন সচিন। 


সেই ম্য়াচেই কপিল দেবের ৪৩৪ টেস্ট উইকেটের মাইলস্টোন টপকে গিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। তিনিই বর্তমানে টেস্টে ভারতের সর্বাধিক উইকেট শিকারি। আবার সেই ম্য়াচেই প্রথমবার এক টেস্টে ১০ উইকেটের মালিক হয়েছিলেন ইরফান পাঠান। প্রথম ইনিংসে পাঠান ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ১৮৪ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে এসেই সচিনের সেঞ্চুরি আসে। ব্যক্তিগত ২৮ ও ৪৭ রানের মাথায় পরপর ২ বার জীবনদান পেয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। শেষ পর্যন্ত নিজের ইনিংসে ৩৫টি শতরান হাঁকান সচিন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (৭১) সঙ্গে জুটি বেঁধে চতুর্থ উইকেটে ১৬৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। শেষ উইকেটে জাহির খানের (৭৫) সঙ্গে জুটি বেঁধে ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন সচিন। ভারত প্রথম ইনিংসে ম্য়ারাথন ৫২৬ রান বোর্ডে তোলে। 


উল্লেখ্য, সচিন তেন্ডুলকর বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ সেঞ্চুরির মালিক। টেস্টে মোট ৫১টি শতরান হাঁকিয়েছেন তিনি। ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে মোট ৪৯টি শতরান করেছেন তিনি। যদিও ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে সচিনের শতরানের সংখ্যাকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি (৫০)।


দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় বোলিং লাইন আপের হয়ে ফের জ্বলে ওঠেন পাঠান। ৫১ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৪০ রানে হারিয়ে দেয় ভারত।