লিডস: নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে এক-আধবার নয়, সাতবার আউট হয়েছেন তিনি। শনিবার হেডিংলেতে স্পিনার শোয়েব বশিরকে একই ওভারে চার ও ছক্কা মেরে যখন ৯৫ রানে পৌঁছে গেলেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant), সঙ্গে সঙ্গে বল করতে চলে এলেন বেন স্টোকস। ইংরেজ অধিনায়কের বলে ইনিংসের শুরুতে কয়েকবার অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গিয়েছিল পন্থকে। আগ্রাসী শটও খেলেছেন। ইংল্যান্ডের এই অনভিজ্ঞ বোলিং লাইন আপে স্টোকসই যে সবচেয়ে ধারাল অস্ত্র, বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে তিনি, ঋষভ পন্থ অন্য ধাতুতে গড়া। স্টোকসের বলে পরাস্ত হলেন। খোঁচা লাগল। কিন্তু পন্থ অদম্য। ডাকাবুকো। শোয়েব বশিরের বলে এক হাতে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন। ১৪৬ বলে। টেস্ট ক্রিকেটে পন্থের সপ্তম সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে তিনি ভেঙে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রেকর্ড। টেস্টে ৬টি সেঞ্চুরি রয়েছে ধোনির। ভারতীয় উইকেটকিপারদের মধ্যে টেস্টে যা এতদিন সর্বোচ্চ সংখ্যক ছিল। ধোনিকে আগেই স্পর্শ করেছিলেন তাঁর শিষ্য পন্থ। এদিন ছাড়িয়ে গেলেন নিজের নায়ককে। ৭ সেঞ্চুরি - ভারতীয় উইকেটকিপারদের মধ্যে টেস্টে এত সেঞ্চুরি নেই কারও। তালিকায় তিন নম্বরে বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা। টেস্টে তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে পাপালির। 

 

পন্থ সেঞ্চুরি করতেই হেডিংলে টেস্টে তিন ভারতীয় ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি হয়ে গেল। এশিয়ার বাইরে কোনও দেশে এ নিয়ে মাত্র চতুর্থবার কোনও টেস্টে একসঙ্গে ভারতের তিন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। ১৯৮৬ সালে প্রথমবার একসঙ্গে সেঞ্চুরি করেছিলেন সুনীল গাওস্কর, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত ও মোহিন্দর অমরনাথ। সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ২০০২ সালে হেডিংলেতেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়, সচিন তেন্ডুলকর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০০৬ সালে গ্রস আইলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ, রাহুল দ্রাবিড় ও মহম্মদ কাইফ। আর এই টেস্টে করলেন যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল ও পন্থ।

হেডিংলের ইনিংসে ৬টি ছক্কা মেরেছেন পন্থ। টেস্টে ৭৬ ইনিংসে ৭৯টি ছক্কা হয়ে গেল তাঁর। এখানেও তিনি পেরিয়ে গেলেন ধোনিকে। টেস্টে ১৪৪ ইনিংসে ৭৮টি ছক্কা মেরেছিলেন ধোনি। পন্থের সামনে এখন শুধু বীরেন্দ্র সহবাগ (৯০ ছক্কা) ও রোহিত শর্মা (৮৮ ছক্কা)।