বেঙ্গালুরু: প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ভরাডুবির পরই জানিয়েছিলেন যে পিচ বুঝতেই ভুল হয়েছিল। নইলে এমন বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন আপই নাকি ৪৬ রানে অল আউট হয়ে যায়! দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা লড়াই করলেও ভারতীয় দল হার বাঁচাতে পারল না বেঙ্গালুরুতে। সিরিজের প্রথম ম্য়াচেই হার, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকলেও চাপ কিন্তু কিছুটা বাড়বেই। ম্য়াচের পর রোহিত শর্মা বলছেন, ''দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের ছেলেরা ব্যাট হাতে দারুণ চেষ্টা করেছে। প্রথম ইনিংসে একেবারেই ভাল খেলতে পারিনি আমরা। যখন ৩৫০ রান পিছিয়ে আছি, তখন বেশি কিছু ভাবার থাকে না। শুধু বল দেখে খেলা ছাড়া উপায়ও ছিল না। কয়েকটা দুর্দান্ত পার্টনারশিপ হয়েছে ম্য়াচে, যা আমাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছিল। সরফরাজ ও পন্থ যখন ব্যাট করছিল, তখন কেউ চেয়ার ছেড়ে উঠতে পারিনি। যেভাবে ওরা সাফল্য পেয়েছে, সেভাবেই ওরা খেলাটা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমি ওদের জন্য় গর্বিত।'' ভারত অধিনায়ক ২ তরুণের প্রশংসায় আরও বলেন, ''ঋষভ যেভাবে খেলছিল, তাতে রিস্ক তো অবশ্যই ছিল। কিন্তু তবুও আমি বলব অনেক পরিণত ইনিংস খেলেছে ও। প্রথম দিকে ভাল বলকে সম্মান দিয়েছে। পরে হাত খুলেছে সুযোগ বুঝেই। সরফরাজও অন্য়দিকে নিজের পরিণতবোধের পরিচয় দিয়েছে। সবেমাত্র চতুর্থ টেস্ট খেলছে ও। কিন্তু এখনই কতটা পরিণত তা এই ইনিংসে বুঝিয়ে দিয়েছে ও। নিজের শট সিলেকশন সম্পর্কে সজাগ।''
পিচ ও প্রতিপক্ষ সম্পর্কে মুখ খুলতে গিয়ে রোহিত বলেন, ''আমি আগেই বলেছিলাম যে দ্বিতীয় দিনে এমন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে খেলতে হবে বুঝতে পারিনি। কিন্তু পঞ্চাশের গণ্ডিও পেরতে পারব না আমরা, এটা কখনও ভাবিনি। তবে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ব্যাট হাতে কেউ দাঁড়াতেই পারিনি ওদের বোলিংয়ের সামনে। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে আগেও পরেছি আমরা। তাই এখান থেকে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে যাচ্ছি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও শুরুতে হেরেছিলাম প্রথম ম্য়াচে। এরপর চারটি ম্য়াচে টানা জিতেছিলাম। এই ছেলরাই ছিল। সবাই জানেন তাঁদের কী করতে হবে। আমি আশাবাদী আগামী দুটো টেস্টেই তা দেখতে পাওয়া যাবে। আমাদের কী করতে হবে, আমরা জানি।''