আমদাবাদ: আগের ম্য়াচটি কুয়াশার জন্য খেলা সম্ভব হয়নি। এমনকী টস পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্য়াচ খেলতে নেমেছে ভারতীয় দল। এই ম্য়াচ জিতলেই সিরিজ পকেটে পুরে নেবে টিম ইন্ডিয়া। আর শেষ ম্যাচেই ভারতীয় দলে তিনটি বদল করা হল।
লখনউয়ে নেটে ব্যাটিংয়ের সময়ে ডান পায়ে চোট পেয়েছিলেন শুভমন গিল। বোর্ডের মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ডানহাতি ব্যাটার। আমদাবাদে নামার মত পুরো ফিট এখনও হয়ে উঠতে পারেননি। তার জন্য়ই ভাগ্য খুলে যায় সঞ্জু স্য়ামসনের। গোটা সিরিজে আগের চারটি ম্য়াচেই রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই কাটাতে হয়েছিল স্যামসনকে। তাঁকে কেন একাদশে খেলানো হচ্ছে না অফফর্মের গিলকে বসিয়ে, তা নিয়েই সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন অনেকেই। শেষ পর্যন্ত স্যামসন সুযোগ পেলেন। গিল না থাকাতেই ভাগ্য খুলে গেল তাঁর।
প্রথম ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বুমরাকে খেলানো হলেও তৃতীয় ম্য়াচে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মূলত বিশ্রামের জন্যই বুমরাকে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফের বুমরা ফিরলেন একাদশে। এমনকী একাদশে ফিরলেন ওয়াশিংটন সুন্দরও। কুলদীপ যাদবের পরিবর্তে দলে এলেন সুন্দর। আর বুমরা একাদশে আসায় বসতে হল হর্ষিত রানাকে। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতেই। তার আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া থাকবে সূর্যকুমারের দল। এর আগে ওয়ান ডে সিরিজেও ভারত জিতলেও টেস্ট সিরিজে হারতে হয়েছে তাদের।
বুমরার ওয়ার্কলোড নিয়ে কী বলছেন উথাপ্পা?
জিও হটস্টারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুমরার ওয়ার্কলোড ম্য়ানেজমেন্ট নিয়ে মুখ খুললেন রবিন উথাপ্পা। ২০০৭ সালের টি-টােয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য বলেন, ''বুমরা প্রকৃত অর্থেই একজন ম্য়াচ উইনার। এই পরিস্থিতিতে ওর ওয়ার্কলোড ইস্যু একটা বড় বিষয়। ফাস্ট বোলিং ক্রিকেটের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন একটা স্কিল। আর বুমরা বছরের পর বছর সেই কাজটা দুর্দান্তভাবে করে আসছে। অবশ্যই ওকে ফিট রাখাটা প্রয়োজন। আবার একই সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বুমরা যেন কিছু ম্য়াচ খেলার সুযোগও পায়, সেদিকেও খেয়ার রাখতে হবে। ম্য়াচ ফিট থাকাটাও প্রয়োজন।''