আমদাবাদ: আর একটু হলেই যুবরাজ সিংহের রেকর্ডটি ভেঙে যাচ্ছিল। কিন্তু হল না। শেষ পর্যন্ত তা অক্ষতই থাকল। তবে আমদাবাদে হার্দিক পাণ্ড্য যে ইনিংসটি খেললেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে, তা বিশ্বকাপের আগে স্বস্তির নিঃশ্বাস দেবে ভারতীয় শিবিরকে। ২৫ বলে ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। নিজের ইনিংসে হাঁকালেন পাঁচটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ছক্কা। ফর্ম অব্যাহত রাখলেন তিলক বর্মাও। তিনি অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন। গিলের পরিবর্তে এদিন মাঠে নেমে রান পেলেন সঞ্জু স্যামসনও। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান বোর্ডে তুলে নিল টিম ইন্ডিয়া।
সিরিজে এগিয়ে থেকে এদিন মাঠে নেমেছিল ভারত। টস হারলেন সূর্যকুমার। ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান এইডেন মারক্রাম। শুভমন গিল পুুরো ফিট না হয়ে ওঠায়, তার পরিবর্তে চলতি সিরিজে প্রথমবারের জন্য সুযোগ চলে আসে সঞ্জু স্যামসনের। অভিষেকের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন স্যামসন। ৫.৪ ওভারে দুজনে মিলে বোর্ডে ৬৩ রান যোগ করার পর অভিষেকের উইকেট হারায় ভারত। ২১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন অভিষেক এদিন। অন্যদিকে স্যামসনও ২২ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। তবে ফের একবার ব্যর্থ হলেন সূর্যকুমার যাদব। এধিন ৫ রান করেই প্যাভিলিয়ন ফিরে যান ভারত অধিনায়ক। আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা হওয়ার কথা। সূর্যর এমন ব্যাটিং ফর্ম সত্যিই চিন্তার বিষয়। অবাক হওয়ার থাকবে না যে আচমকা সূর্যকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে অন্য় কাউকে যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। সূর্য ফেরার পর ক্রিজে আসেন হার্দিক পাণ্ড্য। শুরু থেকেই মারকাটারি ব্যাটিং করেন তিনি। লিন্ডের এক ওভারে ২৭ রান খরচ করেন। সেই ওভারে হার্দিকের ব্যাট থেকে আসে তিনটি ছক্কা ও দুটো বাউন্ডার। উল্টোদিকে তিলক এই ফর্ম্য়াটে যে রান মেশিন হয়ে উঠেছেন জাতীয় দলের জার্সিতে, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন। আরও একটি অর্ধশতরান এল তাঁর ব্যাট থেকে। ৪২ বলে ৭৩ রান করে ফিরলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান বোর্ডে তুলে নেয় ভারত।