সন্দীপ সরকার, কলকাতা: মনে করা হয়, বিরাট কোহলির (Virat Kohli) পর তিনি ভারতীয় ক্রিকেটেরে সবচেয়ে উজ্জ্বল বিজ্ঞাপন। ব্যাট হাতে দারুণ সমস্ত রেকর্ড। সুনীল গাওস্করের পর ভারতের আর কোনও ব্যাটারের যে নজির নেই, এক টেস্ট সিরিজে সাতশোর ওপর রান, সেটাই করে দেখিয়েছেন। অধিনায়ক হিসাবেও নজর কাড়ছেন। টেস্ট দলের নেতৃত্বের ব্যাটন তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অধিনায়ক হিসাবে কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডে গিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ড্র করে এসেছেন। ঘরের মাঠে জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে।

Continues below advertisement

সেই শুভমন গিলের (Shubman Gill) সামনে এবার বড় পরীক্ষা। কারণ, সামনে এবার টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa)। লড়াই যদিও দেশের মাটিতে। কিন্তু শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে কাবু করার চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে। ক্যাপ্টেন হিসাবে। ব্যাটার হিসাবেও। কীভাবে সামলাচ্ছেন জোড়া দায়িত্ব?

শুভমন গিলের দর্শন খুব সহজ। তিনি নিজেকে আগে ব্যাটার মনে করেন। পরে অধিনায়ক। তাঁর উপলব্ধি, ব্যাটিং ভাল হলে নেতৃত্ব আপনা হতেই ঝলমল করবে। যেমন করেছে ইংল্যান্ডে।

Continues below advertisement

ইডেন গার্ডেন্সে তেম্বা বাভুমাদের দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অগ্নিপরীক্ষা ভারতের। ভারতের মাটিতে গত ১৫ বছরে কোনও টেস্ট জেতেনি প্রোটিয়ারা। সেই পরম্পরা বজায় রাখার গুরুদায়িত্ব শুভমনের কাঁধে। যে কারণে প্রস্তুতিতে খামতি রাখতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেটের ‘প্রিন্স’। শুক্রবার থেকে ম্যাচ। তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার ভারতের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল। হাতে গোনা জনা আষ্টেক ক্রিকেটার প্র্যাক্টিস করতে এসেছিলেন ইডেনে। তিনি, শুভমন গিলও হাজির হয়ে গিয়েছিলেন। কোচ গৌতম গম্ভীরের তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সামনে তিন নেটে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করলেন। পেস, স্পিন – দুইয়েরই মহড়া সেরে রাখলেন। 

 

ব্যাটিং ও নেতৃত্বের মধ্যে ভারসাম্য করেন কী করে? সাংবাদিক বৈঠকে এসে শুভমন বললেন, ‘আমার প্রস্তুতির সময় আমি মূলত জোর দিই ব্যাটিংয়ে। ব্যাট হাতে সফল হতে পারলাম কি না, সেটাই প্রধান।’ যোগ করলেন, ‘মাঝে মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে খুব বেশি না ভাবার চেষ্টা করি। তাতে নিজের ওপর চাপ বাড়ে। ঝুঁকি নেওয়ার আগে ভাবতে হয়। কঠিন মুহূর্তে নিজেকে ব্যাটার হিসাবে ভাবলে বরং সুবিধা হয়। তাতে নিজের সেরাটা বেরিয়ে আসে। আমি এভাবেই নেতৃত্ব আর ব্যাটিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখি।’