নয়াদিল্লি: ভারতীয় দলের সম্পদ তিনি। বর্তমান বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার হিসাবেও তাঁকে গণ্য করা হয়। তিনি যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। তবে সাম্প্রতিক অতীতে বুমরা একাধিকবার চোটের কবলে পড়েছেন। তাঁর চোট ও ফিটনেস নিয়ে দিনকয়েক আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ (Mohammad Kaif)। তাঁর জবাবও দিয়েছিলেন বুমরা। এবার ফের একবার বুমরাকে নিয়ে বিস্ফোরক কাইফ।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কাইফ দাবি করেছিলেন, 'রোহিতের অধিনায়কত্বে বুমরা সাধারণত ১, ১৩, ১৭ ও ১৯ নম্বর ওভার বল করত। তবে সূর্যর নেতৃত্বে এশিয়া কাপে শুরুতেই ও তিন ওভারের স্পেল করছে। চোট এড়াতে আজকাল বুমরা ওর শরীর গরম থাকতে থাকতেই বল করছে। শেষের ১৪ ওভারের মধ্যে বুমরার মাত্র এক ওভার থাকাটা ব্যাটারদের জন্য বিরাট স্বস্তির বিষয়। বিশ্বকাপে শক্তিশালী দলগুলির বিপরীতে এমন হলে কিন্তু ভারতীয় দলের চাপ হতে পারে।' এর সপাট জবাব দিয়ে বুমরা জানিয়ে দেন এই ধারণাটা একেবারেই ভুল।
তবে এরপরেও এই বিষয়ে বাক্য বিনিময় থামছে না। মহম্মদ কাইফ নিজের মন্তব্যের ব্যাখা দিয়ে ফের একবার কার্যত বুমরার ফিটনেস নিয়েই প্রশ্ন তুললেন। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে নিজের মন্তব্যের ব্যাখা দিয়ে বলেন, 'যশপ্রীত বুমরা শুরুতেই নতুন বলে তিন ওভার বল করাটা নিয়ে আমার উদ্বেগ। আমিও ক্রিকেটার ছিলাম। তবে আমার মন্তব্যটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় দলের সমর্থক হিসাবেই ছিল। শেষ ১৪ ওভারে তো বুমরার কেবল এক ওভার বাকি থাকছে। আমার এই বিষয়টা নিয়েই আপত্তি।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'ও তো খালি চোট পায় আর প্রতিটা ম্যাচে নিরন্তর ভাবে খেলতে পারে না। ও খেলছে কিন্তু তার মাঝে মাঝে প্রচুর বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে ওকে, যাতে ও সম্পূর্ণ ফিট থাকতে পারে। আমার মনে হয়েছে যে সূর্যকুমার যাদব যদি এভাবেই বুমরাকে ব্য়বহার করতে থাকে, তাহলে আমরা আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারব না। এই বিষয়টা আমি লিখে দিতে পারি।'
এশিয়া কাপের মাধ্যমেই ভারতীয় দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিমুখে সফর শুরু হয়ে গিয়েছে। এশিয়া কাপে সব ম্য়াচ না খেললেও স্পিন সহায়ক পিচেও কিন্তু বুমরা নিজেকে প্রমাণ করেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবশ্য শুরুতে তিন নয়, পাওয়ার প্লেতে দুই ওভার বল করেছিলেন বুমরা। তিনি সেখানে সাফল্য না পেলেও, ডেথ ওভারে ফিরে দুই উইকেট নেন। এশিয়া কাপও পকেটে ভরে নেয় ভারত। এবার দেখার টিম ইন্ডিয়া পরপর দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারে কি না।