মুম্বই: শুধুমাত্র দেশ নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের অন্য়তম ভয়ঙ্কর বোলার মানা হয় তাঁকে। তিনি বল হাতে নিলেই কাঁপুনি ধরে যায় বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটারদের। তিনি যশপ্রীত বুমরা। বর্তমান ক্রিকেটের বিশ্বসেরা পেসারদের একজন। আর নিঃসন্দেহে এই মুহূর্তে ভারতের সেরা পেস বোলার। কিন্তু একজন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে বিশ্বের সেরা পেসার হয়ে ওঠার পথটা কিন্তু কোনওভাবেই সহজ ছিল না। সম্প্রতি নিজের জীবনের ওঠাপড়ার গল্প শুনিয়েছিলেন এই ডানহাতি পেসার। কীভাবে ছোটবেলা ক্রিকেট খেলার জন্য মায়ের কাছে বকুনি খেতে হয়েছিল সেই স্মৃতি থেকে কাকে দেখে ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা জন্মেছে, সব কিছুই বলেছেন বুম বুম।
ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে বুমরা বলছেন, ''আমি খুব বেশি নিয়মিত প্রশিক্ষণ পাইনি এবং আমার মাও চাননি যে আমি দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট খেলি, কারণ তিনি ভেবেছিলেন আমি আমার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারব না। তাই শেখার একমাত্র উপায় টেলিভিশনের মাধ্যম ছিল।'' নিজের অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন নিয়েও মুখ খুললেন বুমরা। ডানহাতি পেসার বলছেন, ''ছোটবেলায় যখনই কোনও বোলার উইকেট নিতেন, আমি তাঁকে অনুকরণ করার চেষ্টা করতাম কারণ আমার নিজস্ব কোনো বিশেষ বোলিং অ্যাকশন ছিল না। এভাবে বিভিন্ন অ্যাকশন কপি করে আমি আমার নিজস্ব স্টাইল তৈরি করেছিলাম, এটি একটি অনন্য স্টাইল হয়ে ওঠে পরে।''
ছোটবেলা থেকেই শুনতেন বাঁহাতি বোলারদের প্রাধান্য বেশি। তিনি নিজেও চেষ্টা করতেন বাঁহাতে বল করার। বুমরা বলছেন, ''আমি বাঁহাতি বোলারদের দ্বারাও খুব প্রভাবিত ছিলাম এবং বাঁ হাত দিয়েও বোলিং করার চেষ্টা করতাম। আমি দুই হাতেই বল করতে পারি, তবে গতিতে পার্থক্য আছে।"
উল্লেখ্য়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হয়ত বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। এখনও পর্য়ন্ত নির্বাচকদের তরফে সেভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে টানা ক্রিকেটের ধকল যাতে পরে চাপে না ফেলে তারকা পেসারকে, তার জন্য়ই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হয়ত ফের জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরে আসবেন বুমরা। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে বুমরার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ''লক্ষ্মী নয়, এবার কালী হওয়ার সময় এসেছে'', আর জি কর ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন সাক্ষী মালিক