রাওয়ালপিন্ডি: ২৬ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে দল। বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন খুররাম শেহজাদ। সেই সময়েই তিনি রুখে দাঁড়ালেন। রবিবারের রাওয়ালপিন্ডিতে মতান্তরে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ইনিংসটি এল লিটন দাসের (Litton Das) ব্যাট থেকে। দেওয়াল পিঠ ঠেকে যাওয়া বাংলাদেশ দলের হয়ে অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে (PAK vs BAN 2nd Test) লড়াইয়ে ফেরালেন তারকা কিপার-ব্যাটার।


পাঁচ বলের ব্যবধানে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামান খুররাম। শাকিব, মুশফিকুর, মোমিনালরা সকলেই ব্যর্থ। এমনকী বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটারদের মধ্যে কেবল শাদমানই দুই অঙ্কের রান করতে পারেন। তাঁর সংগ্রহ ১০। এই পরিস্থিতি থেকে মেহেদি হাসান মিরাজকে (Mehidy Hasan Miraz) নিয়ে পাল্টা লড়াই চালালেন লিটন দাস। দেখতে দেখতেই নিজের কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্ট শতরানটি হাঁকিয়ে ফেললেন তিনি।


 






 


দিনশেষে যখন সলমন আলি আগার বলে আউট হয়ে ফিরলেন লিটন, তখন তাঁর নামের পাশে লেখা ১৩৮ রান। তাঁর এই অনবদ্য সেঞ্চুরি এবং মেহেদি হাসানের দুরন্ত ৬৮ রানের ইনিংসের সুবাদেই পাকিস্তানের ২৭৪ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৬২ রান তুলতে পারল বাংলাদেশ। এক সময় ব্যাটিং বিপর্যয়ে যখন মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ ৫০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারবে না। সেই সময়ই লিটনের ইনিংস দলকে শুধু লড়াইয়ের জায়গা করে দিল তাই নয়, বলা ভাল দলের ঐতিহাসিক সিরিজ় জয়ের আশাও জিইয়ে রাখল।  


সপ্তম উইকেটে মিরাজ ও লিটন মিলে মোট ১৬৫ রান যোগ করেন। তবে চা পানের বিরতির ঠিক আগেই জোড়া সাফল্য পান খুররাম। পাঁচ উইকেট সম্পূর্ণ করেন তিনি। মেহেদিকে তিনিই সাজঘরে ফেরান। ফের একবার খানিক চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতি নবম উইকেটে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দেন হাসান মামুদ। দুইজনে ৬৯ রান যোগ করেন। তবে লিটন আউট হওয়ার দুই বল পড়েই নাহিদ রানা আউট হলে বাংলাদেশ ইনিংস ২৬২ রানেই শেষ হয়। আপাতত প্রথম ইনিংসে লিটনরা ১২ রানে পিছিয়ে। তবে অঙ্কটা যে লিটন-মিরাজ না থাকলে সুবিশাল হত, তা বলাই বাহুল্য।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাজঘরে বিরাট অশান্তি! শান মাসুদ-শাহিন আফ্রিদির মারপিট থামাতে গিয়ে মার খেলেন রিজওয়ান?