কলকাতা: তিনি অবসর নিয়েছেন সদ্য । পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচই ছিল তাঁর পেশাদার কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ । প্রিয় ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) যে ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি বাংলার জার্সিতে । তাঁর বিদায়ী ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাও । সতীর্থদের কাঁধে চেপে তাঁর মাঠ ছাড়ার দৃশ্য এখনও বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ভাসছে ।
সেই ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) ফের নেমে পড়লেন ক্রিকেট মাঠে । কোচিং করাতে নয়, একেবারে ক্রিকেটার হিসাবে । উইকেটকিপিংও করলেন তিনি । এবার অফিসের হয়ে । প্রয়াত ক্রিকেট প্রশাসক জগমোহন ডালমিয়ার হাতে তৈরি ন্যাশ্যানল ক্রিকেট ক্লাব (NCC) আয়োজিত ইন্টার অফিস ক্রিকেট লিগে সিইএসসি-র হয়ে খেললেন ঋদ্ধিমান । তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হল ময়দানে । টুর্নামেন্ট দেখতে হাজির হয়ে গেলেন প্রাক্তন সিএবি প্রেসিডেন্ট ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য অভিষেক ডালমিয়া ।
আরও পড়ুন: আইপিএল শুরুর আগে বিরাট ধাক্কা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের, ছিটকে গেলেন তরুণ ক্রিকেটার
তাঁকে এক সময় বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার বলা হতো । বিরাট কোহলি পর্যন্ত অধিনায়ক থাকাকালীন ঋদ্ধিমান সাহার কিপিং দক্ষতা নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন । পুণেতে উমেশ যাদবের বলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্টিভ ও'কিফের ক্যাচ যেরকম অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় শূন্যে শরীর ভাসিয়ে তালুবন্দি করেছিলেন, তা এখনও অনেকের মনে বিস্ময় তৈরি করে । যে ক্যাচের পর ঋদ্ধিমানের নামকরণই হয়ে গিয়েছিল, ফ্লাইন সাহা । কেউ কেউ বলতে সুপারম্যান ঋদ্ধিম্যান ।
রঞ্জি ট্রফি খেলেই যে তিনি ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন, আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন । বাংলা রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ থেকে বিদায় নিতেই ঋদ্ধিমানের বর্ণময় কেরিয়ারে ইতি পড়ে । এবার তাঁকে খেলতে দেখা যাচ্ছে অফিসের ম্যাচে ।
এনসিসি আয়োজিত ইন্টার অফিস ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়ে ২৪ দল । ৬ গ্রুপে দলগুলিকে ভাগ করা হয়েছে । মঙ্গলবার শুরু হয়েছে টুর্নামেন্ট । প্রথম দিন ইস্টার্ন রেলওয়ে হারিয়েছে বাটাকে । ঋদ্ধিমানের সিইএসসি হারিয়েছে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিকে ।
আরও পড়ুন: বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ম্যাচ জিতিয়ে চলেছেন, কলকাতা ময়দানে হইচই পুলককে নিয়ে