বেঙ্গালুরু: দুই কিংবদন্তির নাম মিলিয়ে তাঁর নাম। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা দুই ব্যাটার সচিন তেন্ডুলকর ও রাহুল দ্রাবিড়ের নাম মিলিয়ে রচিন রবীন্দ্রর (Rachin Ravindra) নাম রাখা হয়েছিল। তাই তিনি ব্যাট হাতে রেকর্ড গড়বেন এটাই তো স্বাভাবিক। চলতি বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্সে সকলেরই নজর কেড়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে (NZ vs SL) অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও, বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি।


শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৪২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন রবীন্দ্র। এই ইনিংসের সুবাদেই তিনি চলতি বিশ্বকাপের সর্বাধিক রানসংগ্রাহক তো হনই, পাশাপাশি নিজের প্রথম বিশ্বকাপে সর্বকালের সর্বাধিক রানসংগ্রাহকও হয়ে গেলেন তিনি। রবীন্দ্র চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত নয় ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে ৭০.৬২ গড়ে মোট ৫৬৫ রান করেছেন। এটি নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলা যে কোনও ব্যাটারের ক্ষেত্রে সর্বকালের সর্বোচ্চ।


রবীন্দ্র ইংল্যান্ডের তারকা কিপার-ব্যাটার জনি বেয়ারস্টোর রেকর্ড ভাঙলেন। বেয়ারস্টো ২০১৯ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ৫৩২ রান করেছিলেন। তাঁর রেকর্ডই ভাঙলেন তিনি। এই তালিকায় তৃতীয় নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তানের মহাতারকা তথা বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজম। বাবর ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্বকাপে ৪৭৪ রান করেছিলেন।


বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ট্রেন্ট বোল্টের বল হাতে দাপটের পর রচিন ও ডেভন কনওয়ের ৮৬ রানের পার্টনারশিপে নিউজ়িল্যান্ড পাঁচ উইকেটে জয় সুনিশ্চিত করে। এই জয়ের সুবাদেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও নিজেদের জায়গা কার্যত পাকা করে ফেলল কিউয়িরা।


অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজ়িল্যান্ড দলের শুরুটা দুর্দান্তভাবে হয়। দলের দুই তারকা ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং রচিন রবীন্দ্র অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। দুইজনে মিলে মাত্র ৭৪ বলে ৮৬ রান যোগ করেন। পাওয়ার প্লেতেই তাঁরা ৭৩ রান যোগ করেন। এখানেই শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। তবে লঙ্কান দল কিন্তু জয়ের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ জেনেও লড়াই করার চেষ্টা করে। 


নিউজ়িল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কাটি দেন দুষ্মন্ত চামিরা। দুরন্ত ছন্দে দেখানো কনওয়েকে অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় ৪৫ রানে আউট করেন তিনি। ঠিক তার পরের ওভারেই রচিনকে ৪২ রানে সাজঘরের রাস্তা দেখান থিকসানা। তিনে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ডারিল মিচেলের কাঁধে এরপর ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এসে পড়ে। উইলিয়ামসন তেমন স্ট্রাইক না পেলেও, দুরন্ত গতিতে রান করতে থাকেন মিচেল। তবে দুই তারকাকেই সাজঘরে ফেরত পাঠান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ়।


উইলিয়ামসন ১৪ রান করেন, মিচেল আউট হন ৪৩ রানে। মার্ক চ্যাপম্যান সাত রানে রান আউট হন। পাঁচ পাঁচটি সাফল্য পায় শ্রীলঙ্কা। তবে তা সত্ত্বেও, দুরন্ত ওপেনিং পার্টনারশিপের পর কোনওসময়ই মনে হয়নি যে শ্রীলঙ্কা লড়াইয়ে ফিরতে পারে। ফলত সহজেই জয় পায় নিউজ়িল্যান্ড।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: জন্মদিনে মহাকাব্যিক সেঞ্চুরি, ইডেনে বসল বিরাট-শতরানের ছবি