নয়াদিল্লি: এ বছরের শেষের দিকে সম্ভবত অক্টোবর-নভেম্বর মাসেই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের (ICC WC 2023) আসর বসতে চলেছে। এই প্রথমবার গোটা টুর্নামেন্টটি এককভাবে ভারতই আয়োজন করতে চলেছে। তবে এই বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ঘিরে টালবাহানা অব্যাহত। পিসিবির প্রাক্তন প্রধান নাজম শেঠি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান সরকারের তরফে ছাড়পত্র না দিলে পাকিস্তান দলের পক্ষে ভারতে খেলতে আসা সম্ভব নয়। এবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে জানানো হল। 


বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং আরও না না বিষয় খতিয়ে দেখে তবেই ভারতে পাকিস্তানকে খেলার বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধি মুমতাজ জোহরা বালোচের (Mumtaz Zahra Baloch) মতে খেলার সঙ্গে রাজনীতি মেশানো উচিত নয় এবং ভারতের পাকিস্তানে খেলতে না আসাটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, 'আমরা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নিরাপত্তাসহ না না দিক খতিয়ে দেখে তবে দলের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তটা সঠিক সময়ে পিসিবিকে জানিয়ে দেব।'


দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ। আইসিসি টুর্নামেন্টসহ না না বড় বড় টুর্নামেন্টেই দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়। ভারতে ২০১৬ সালে শেষবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তান খেলতে এসেছিল। ভারত তো তারও আট বছর আগে ২০০৮ সালে শেষবার পড়শি দেশে খেলতে গিয়েছিল। আসন্ন এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজিত হলেও কিন্তু ভারত সেখানে খেলতে যাবে না। বরং ভারতীয় দল নিজেদের সব ম্যাচই খেলবে শ্রীলঙ্কায়। তবে পাকিস্তান বোর্ডের পরামর্শ মেনেই হাইব্রিড মডেলেই এই এশিয়া কাপ আয়োজিত হচ্ছে। তারপরেও বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ করা নিয়ে জল্পনা কল্পনা অব্যাহত।


এই প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক জাভেদ মিঁয়াদাদ দাবি করেন পাকিস্তান বিশ্বকাপ না খেললে পাক দলের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না। 'পাকিস্তান ক্রিকেট অনেক বড়। আমাদের দেশ থেকে এখনও দারুণ সব প্রতিভা উঠে আসছে। তাই আমরা যদি ভারতে নাও যাই, আমার মনে হয় না তাতে আমাদের দলের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে। আমি তো সবসময়ই বলে এসেছি যে কে আমাদের পড়শি হবে, তাতে আমরা কিছু করতে পারব না। তাই একে অপরের সঙ্গে বোঝাপড়া করে শান্তিপূর্ণভাবে থাকাই শ্রেয়। আমার সবসময় মনে হয়েছে যে ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেটা দুই দেশের জনগণকে একে অপরের কাছে আনে, বিভেদ মেটায়।' মত মিঁয়াদাদের। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: প্রতিদিন নিয়মিত মধু সেবনে কী কী উপকার হতে পারে আমাদের স্বাস্থ্যের?