নয়াদিল্লি: ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বাধিক উইকেটসংগ্রাহক তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (IND vs AUS) প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একটিতেও সুযোগ পাননি অর্শদীপ সিংহ (Arshdeep Singh)। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে অজ়িদের হাতে কার্যত দুরমুশ হয়েছে ভারত। এরপরেই অর্শদীপকে বিভিন্ন মহল থেকে দলে নেওয়ার দাবি তোলা হচ্ছে। সেই তালিকায় সামিল আর অশ্বিনও (R Ashwin)।

Continues below advertisement

অশ্বিন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরাজয়ের পরেই দাবি করেছিলেন ভারতীয় দলের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার হলে অর্শদীপ নয়, বরং বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত ছিল। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিনকে বলতে শোনা যায়, 'যদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেই হয়, তাহলে বুমরাকে বিশ্রাম দাও। বুমরার তো ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয় রয়েছে। তাই বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়াই যায়।' তিনি আরও যোগ করেন, 'দেখুন অর্শদীপ দলের সর্বাধিক উইকেটসংগ্রাহক। আমরা যেসময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলব, তখন শিশির পড়তে শুরু করে দেবে। তবে অর্শদীপকে নিয়ে এই আলোচনা চওয়াটাই দুঃখজনক। নিঃসন্দেহেই দলে ওর জায়গা পাওয়াটা প্রাপ্য।'

অশ্বিনের মতে বুমরার পরে অর্শদীপই দলের সেরা বোলার। ২০২৪ বিশ্বকাপে অর্শদীপের পারফরম্যান্সের পরেও তাঁকে যেভাবে দলের বাইরে রাখা হচ্ছে, সেটা হতাশাজনক। 'আমার বক্তব্য হল বুমরা খেললে বোলিংয়ের দিক থেকে অর্শদীপের নামটা দলে দ্বিতীয় নাম হওয়া উচিত। বুমরা না খেললে, তখন অর্শদীপই ওই দলের প্রথম পছন্দের বোলার হওয়া উচিত। আমি বুঝতে পারি না ঠিক কীভাবে অর্শদীপ এই দলের প্রথম একাদশের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিষয়টা হর্ষিতকেনিয়ে একেবারেই নয়, অর্শদীপ ২০২৪ সালের বিশ্বকাপে যেভাবে পারফর্ম করেছিল, তারপরেও ওকে না না কারণে দলের বাইরে রাখা হচ্ছে। ওকে বহুবারই বাইরে বসিয়ে রাখা হয়েছে, যেখানে ওর নিয়মিত দলে থাকা উচিত।' মত প্রাক্তন ভারতীয় কিপারের।

Continues below advertisement

সিরিজ় জয়ের আশা বজায় রাখতে রবিবার, ২ নভেম্বর তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামবে ভারতীয় দল। অজ়িদের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে অর্শদীপ সুযোগ পান কি না, এবার সেটাই দেখার বিষয় হতে চলেছে।

শ্রেয়সের মেডিক্যাল আপডেট

সিডনিতে চোট পেয়েছিলেন। তারকা ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে রীতিমত চিন্তা বেড়েছিল। ফিল্ডিং করার সময় একটি ক্য়াচ নিতে গিয়ে তাঁর পাঁজরে চোট লাগে তারকা ব্যাটার। রক্তক্ষরণ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে সিডনিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দ্রুত আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এবার তাঁকে নিয়ে বোর্ডের তরফেও এক বিবৃতি দেওয়া হল। 

বিসিসিআইয়ের তরফে যে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে শ্রেয়সের চোট নিয়ে জানানো হয়েছে, 'শ্রেয়সের চোট দ্রুত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল। একটা ছোট্ট অপারেশন করানো হয়। ওই অপারেশনের পরই রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। একেবারে সঠিক চিকিৎসা হয়েছে। আপাতত ওর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট স্থিতিশীল। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে। হাসপাতাল থেকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'