চেন্নাই: তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ভারতীয় দল বিরাট বিপাকে। টপ অর্ডার ব্যর্থতার পর ফের ছোট ধস। কেএল রাহুল সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন। তিনি ও রবীন্দ্র জাডেজাই দলের শেষ ভরসা। আর অশ্বিন (R Ashwin) কিন্তু হতাশ করলেন না। দুরন্ত প্রতিআক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে হাঁকালেন সেঞ্চুরি। তাও আবার নিজের ঘরের মাঠে।


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে (IND vs BAN 1st Test) চাপের মুখে ব্যাটে নেমে অশ্বিন রক্ষণ নয়, বরং আক্রমণকে হাতিয়ার করে বাংলাদেশ বোলারদের চাপে ফেললেন। নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য সদ্য টি-২০ টুর্নামেন্ট খেলাকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন অশ্বিন। প্রায়শই যেখানে এক ফর্ম্যাট থেকে চট করে অন্য ফর্ম্যাটে মানিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন, তা নিয়ে আলাপ আলোচনা চলে, সেখানে অশ্বিনের মতে বিশ ওভারের ফর্ম্যাটে খেলা তাঁকে বড় শট খেলার আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।   


ম্যাচ শেষে সেঞ্চুরিয়ান বলেন, 'ঘরের মাঠে খেলাটা তো সবসময়ই আনন্দদায়ক। এই মাঠে খেলতে খুব ভালবাসি আমি। এখানে শতরান হাঁকানোটা অবশ্যই বিশেষ অনুভূতির। আমি টি-২০ টুর্নামেন্ট খেলে এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলাম। সেটা আমার ব্যাটিংয়ে শট মারতে বেশ সাহায্যই করেছে। আমি তো বরাবরই শট খেলতে পছন্দ করি। এরকম পিচে ঋষভ পন্থের মতো বলকে জোরে আঘাত করাটাই লাভদায়ক। এটা পুরনো দিনের চেন্নাইয়ের পিচের মতো যেখানে বল লাফাচ্ছে এবং বেশ ভাল ব্যাটে আসছে। সুযোগ পেলেই তাই বড় শট খেলা যায়। আমার এমন পিচে খেলতে বরাবরই ভাল লাগে।'


সপ্তম উইকেট চিপকে সর্বকালের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ গড়েন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। দিনশেষে ১৯৫ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ গড়েন দুইজনে। অশ্বিন যেখানে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন, সেখানে জাডেজার সংগ্রহ ৮৬ রান। দিনশেষে নিজের পার্টনারকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরালেন তারকা অলরাউন্ডার। 


'জাডেজার অপরপ্রান্তে থাকাটা দারুণ সুবিধাজনক ছিল। একসময় আমি তো ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এই গরমে ঘেমেনেয়ে একাকার অবস্থা। সেইসময়টা কাটাতে জাডেজা আমায় খুব সাহায্য করেছে। ও আমাদের সেরা ব্যাটারদের মধ্যে অন্যতম। আমায় অভয় দেয় বেশি জোরে ছুটতে হবে না। দুই রানকে তিনে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করব না। সেটা আমার জন্য বেশ ভালই হয়।' মত অশ্বিনের


চিপকের পিচে ছোটবেলা খেলছেন অশ্বিন। হাতের তালুর মতো তিনি এই মাঠ চেনেন। পিচ সম্পর্কে অশ্বিনের মতামত, 'এই পিচে ওভারস্পিন বলগুলি বাউন্স করবে, স্পিনাররাও ম্যাচের পরের দিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে এখনও অবধি এই পিচে ফাস্ট বোলারদের জন্য যথেষ্ট মদত রয়েছে। কাল শুরুর দিকে নতুন বলটারকে একটু দেখে খেলতে হবে। আমাদের নতুন করে আবার পূর্ণ একাগ্রতা নিয়ে শুরু করতে হবে। পিচ এখনও ভেজা রয়েছে। তবে ম্যাচ যত গড়াবে, ততই পিচ শুকিয়ে উঠবে এবং বল বেশ গতিতে ব্যাটে আসবে।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: অশ্বিনের শতরান, দুরন্ত ইনিংস জাডেজারও, হাসান মামুদ ঝড় সামলে রেকর্ড পার্টনারশিপে ৩৩৯ তুলল ভারত