আগরতলা: বিগত দুই ম্যাচেই ছয় পয়েন্ট নিয়ে এবারের রঞ্জি মরশুরুমটা (Ranji Trophy 2025-26) শুরু করেছে বাংলা দল। মরশুমের তৃতীয় ম্যাচে অভিমন্যু ঈশ্বরণ, আকাশ দীপ ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়া মাঠে নামলেও, সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে নেমেছে বাংলা। ম্যাচের শুরুটা কিন্তু বাংলা দল বেশ ভালভাবেই করেছে। সৌজন্যে সুদীপ কুমার ঘরামি (Sudip Kumar Gharami) ও শাকির হাবিব গাঁধী (Habib Gandhi)। বাংলার দুই টপ অর্ডার ব্যাটারের দৌলতেই প্রথম দিনশেষে বেশ ভাল জায়গায় বাংলা।
এদিন তারকা বোলার মহম্মদ শামির হাত থেকে নিজের অভিষেক ম্যাচে ক্যাচ পান তরুণ স্পিনার রাহুল প্রসাদ। ত্রিপুরার হয়ে অভিষেক ঘটান সেন্টু সরকারও ম্যাচে নিজের অভিষেক ঘটান। এদিন টস জিতে ত্রিপুরা অধিনায়ক মণিশঙ্কর মুরাসিংহ প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।
ব্যাটে নেমে শুরুটা বাংলার একেবারেই ভাল হয়নি। দিনের শুরুতেই খাতা খোলার আগেই ওপেনার কাজী জুনেইদ সইফি সাজঘরে ফিরে যান। মাত্র চার রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলা। তবে বাকি গোটা দিনে সুদীপ ও হাবিব নিশ্চিত করেন যাতে বাংলার আর কোনও উইকেট না পরে। দুইজনে মিলে ১৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়লেন। উভয়েই দারুণ অর্ধশতরান হাঁকালেন। আগরতলায় প্রথম দিনশেষে বাংলার স্কোর এক উইকেটে ১৭১ রান।
ব্যাটিং সহায়ক পিচে হাবিব ও সুদীপ দারুণভাবে ব্যাটিং করেন। দেখেশুনে নিজেদের শট নির্বাচন করেন। শুরুতে সইফি অভিজিৎ সরকারের বলে কট বিহাইন্ড হন। তাঁর ক্ষেত্রে বলটা খানিকটা নীচুও থাকে। তবে বাঁ-হাতি ব্যাটারকে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বেশ হতাশই দেখাচ্ছিল। সুদীপ ম্যাচে দুইবার জীবনদানও পান, তবে সেই সুযোগকে কিন্তু তিনি হাতছাড়া করেননি। দেখতে দেখতেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের দশম অর্ধশতরন হাঁকিয়ে ফেলেন।
প্রথম সেশনে তাও বোলাররা খানিকটা সহায়তা পেলেও, দ্বিতীয় সেশনে পিচে রোদ পড়ার পর তা আরও ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠে। দুইজনে সেই সুযোগে বেশ ভাল ব্যাটিংই করেন। হাবিব সুযোগ বুঝে নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং করে শতরান পূরণের লক্ষ্যে ব্যাটিং করেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত খারাপ আলোর জন্য সময়ের আগেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তাঁর শতরান আর হয়নি। তিনি দিনশেষে ১১টি চারের সুবাদে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন। অপরদিকে, ওপেন করতে নেমে সুদীপের সংগ্রহ ৭০ রান।