কলকাতা: তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার ৩২৮ রানের জবাবে ঝাড়খণ্ডের (Ben vs Jha) স্কোর ছিল ১৬২/৭ ছিল। পরিস্থিতি অনুযায়ী বাংলার জয় ছিল কার্যত সময়ের অপেক্ষা। হলও তাই। চতুর্থ দিনে নয় উইকেটের বিরাট ব্যবধানে ঝাড়খণ্ডকে হারিয়ে নাগাড়ে তৃতীয়বার রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে নিজেদের টিকিট পাকা করল বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই আকাশের দাপটে ২২১ রানেই শেষ হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৬৭ রান মাত্র এক উইকেট হারিয়েই তুলে নেয় বাংলা।


শেষ চারে বাংলা


চতুর্থ দিনে ঝাড়খণ্ডের দুই অপরাজিত ব্যাটার সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও শাহবাজ নাদিম ব্যাট করতে নামেন। দিনের প্রথম ওভারেই শাহবাজকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুকেশ কুমার। তবে শাহবাজ আউট হয়ে গেলেও, অবধারিত পরাজয় রুখতে মরিয়া লড়াই চালান সুপ্রিয় ও রাহুল শুক্ল। নবম উইকেটে দুইজনে মিলে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে শেষমেশ রান আউটের দৌলতেই এই পার্টনারশিপ ভাঙতে সক্ষম হয় বাংলা। শুক্ল ১০ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তাঁর আউট হওয়ার মাত্র দুই বল পরেই সুপ্রিয়ও ৪১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে আউট হওয়ায় শেষ হয় ঝাড়খণ্ডের ইনিংস।


বাংলার হয়ে আকাশ দীপ ও মুকেশ কুমার উভয়েই দুই ও আকাশ ঘটক সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। মনোজদের সামনে জয়ের জন্য ছিল ৬৭ রানের লক্ষ্য। স্বল্প রানের লক্ষ্য সামনে নিয়ে মাঠে নামলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন কাজী সৈফি। বাংলার ওপেনার মাত্র চার রানে সাজঘরে ফেরেন। তবে অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ ঘরামি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে বাংলাকে সহজেই জয় এনে দেন। অভিমন্যু ৩১ বলে ২৮ ও সুদীপ ৩০ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।


টেস্টে ফিরবেন হার্দিক?


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে রোহিত শর্মা বা কেএল রাহুল ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের হয়ে মাঠে নামেননি। তাঁদের অনুপস্থিতিতে হার্দিক পাণ্ড্যই (Hardik Pandya) দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হার্দিকের নেতৃত্বে পর পর সিরিজও জিতেছে ভারতীয় দল (Team India)। তবে সাদা বলের ক্রিকেট চুটিয়ে খেললেও, হার্দিক ২০১৮ সালের ৩০ অগস্ট ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষবার লাল বলের ক্রিকেট খেলেছিলেন। তারপর চোট সমস্যা তাঁকে বহুদিন ভুগিয়েছে। এখন তিনি আবার ফিট। বহু ভারতীয় সমর্থকেরই মনে তাই প্রশ্ন জাগছে, হার্দিক টেস্ট ক্রিকেটে কবে ফিরবেন? তিনি কি আদৌ আর টেস্ট খেলবেন?


হার্দিক নিজেই তাঁর টেস্ট ভবিষ্যত ঘিরে কৌতূহল দূর করতে মুখ খুললেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'আমার যখন ব্যক্তিগতভাবে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার সঠিক সময় মনে হবে, তখনই আমি ফিরব। তবে বর্তমানে আমি সাদা বলের ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে চাই, কারণ এখন এটাই প্রয়োজনীয়। যদি আমার শরীর আমায় সঙ্গ দেয় এবং আমার মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার এটাই সঠিক সময়, তাহলেই আমি আবার টেস্ট ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব।' প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক ঘটানোর পর থেকে হার্দিক ভারতের হয়ে ১১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। 


আরও পড়ুন: সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন বিশ্বজয়ী তারকা যোগিন্দর শর্মা