মাউন্ট মাঙ্গানুই: বল হাতে এই বছরটা তাঁর জন্য খানিকটা স্বপ্নের মতোই কেটেছে। এই স্বপ্নের বছরের শেষটা রেকর্ড গড়েই করলেন তিনি। তিনি জেকব ডাফি (Jacob Duffy)। নিউজ়িল্যান্ডের ফাস্ট বোলার। সদ্যই তাঁকে আইপিএলের নিলামে দলে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই জেকব ডাফিই এবার ইতিহাস গড়লেন।
মাউন্ট মাঙ্গানুইতে আজই ওয়েস্ট ইন্ডিজ় বনাম নিউজ়িল্যান্ডের (NZ vs WI) তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ় সমাপ্ত হয়েছে। তৃতীয় টেস্টে ৩২৩ রানের বিরাট ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে হারিয়ে সিরিজ় ২-০ নিজেদের নামে করেছে কিউয়িরা। নিউজ়িল্যান্ডের এই সিরিজ় জয়ের পিছনে অন্যতম প্রধান কারিগর তিনি। সিরিজ়ে মোট ২৩ উইকেট নিয়েছেন জেকব ডাফি। শেষ ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নেন তিনি। এর সুবাদেই নতুন ইতিহাস রচনা করলেন ডান হাতি ফাস্ট বোলার।
চলতি বছরে মোট ৮১টি উইকেট নিয়েছেন ডাফি। টেস্টে ১৬.২ গড়ে ২৫টি, ২১.৪৮ গড়ে ওয়ান ডেতে ২১টি এবং ১৫.০৯ গড়ে টি-টোয়েন্টিতে ৩৫টি উইকেট নিয়েছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা (আইসিসি ব়্যাঙ্কিং অনুযায়ী) টি-টোয়েন্টি বোলার তিনি। তাঁর গুণমুগ্ধ আর অশ্বিনও। মাত্র দুই কোটি টাকায় আরসিবির ডাফিকে কেনার প্রশংসাই করেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি বোলার। সেই ডাফির নতুন ইতিহাস।
তাঁর নেওয়া এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে মোট ৮১টি উইকেটই কোনও নিউজ়িল্যান্ড বোলারের সর্বকালের সর্বোচ্চ। স্যর রিচার্ড হ্যাডলির চার দশক পুরনো ৮০ উইকেটের রেকর্ড ভেঙে এই নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।
তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ়ে সমতায় ফিরতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সামনে ৪৬১ রানের লক্ষ্য ছিল। ম্যাচের পঞ্চম দিনের শুরুটা কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪৩ রানে করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। প্রথম ইনিংসে কেভাম হজদের লড়াই দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসেও তেমন লড়াইটা চোখে পড়বে। ম্যাচ জিততে না পারলেও, অন্তত ড্র করার জন্য জোরকদমে লড়াই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। তবে চ্যালেঞ্জিং পিচে কিউয়ি বোলারদের পঞ্চম দিনে সামলাতে নাজেহাল হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
পিচে ফাটল থাকায় একদিকে যেমন বাউন্সারের তারতম্য দেখা যাচ্ছিল, তেমনই বল স্পিনও হচ্ছিল। শেষমেশ ডাফিদের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করে ক্যারিবিয়ান দল। ৮৭ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পর ৫১ রানেই ১০ উইকেট হারিয়ে ফেলে ম্যাচ ও সিরিজ় খোয়ায় রস্টন চেজ়ের দল। ২৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ় সেরা হন জেকব ডাফি।