পারথ: অসুস্থ রিকি পন্টিং (Ricky Ponting )। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হল। অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (Australia vs West Indies) টেস্ট ম্য়াচ চলাকালীনই অসুস্থতা বোধ করেন পন্টিং। ম্যাচের ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন পন্টিং। কিন্তু সেই সময়ই আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জানা গিয়েছে যে, বুকে ব্যথাও অনুভব করেছিলেন। এরপরই তড়িঘড়়ি পন্টিংকে পারথের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সম্প্রচারকারী চ্যানেলের তরফে বলা হয়েছে এই ম্যাচের জন্য কমেন্ট্রি বক্সে আপাতত দেখা যাবে না আর পন্টিংকে। তবে সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে স্থিতিশীল রয়েছেন এই প্রাক্তন অজি ক্রিকেটার। 


অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে পারথে টেস্ট ম্যাচ চলছে। সেই ম্যাচেই ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন পন্টিং। খেলার তৃতীয় দিনে লাঞ্চের বিরতির সময়ে বুকে ব্যথা অনুভব করেন পন্টিং। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 


সুস্থ আছেন পেলে


আপাতত সুস্থ আছেন কিংবদন্তি পেলে (Pele)। কিছুদিন আগেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল ফুটবলের সম্রাটকে। এবার নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে পেলে জানিয়ে দিলেন যে তিনি এই মুহূর্তে সুস্থ আছেন। কাউকে চিন্তা করতে না। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে পেলে লিখেছেন, ''প্রতি মাসের নিয়ম মতোই এবারেও হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসেছি। তবে সকলে আমার সুস্থতা কামনা করেছেন, তা দেখে সত্যিই খুব ভাল লাগছে। সকলকে ধন্যবাদ জানাই।''


উল্লেখ্য়, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন ফুটবল সম্রাট। হঠাৎই গত মঙ্গলবার অসুস্থ হন ব্রাজিলিয় ফুটবল কিংবদন্তী পেলে। হঠাৎই সারা শরীর ফুলে যায় তাঁর। তাঁর decompensated heart failure হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল, ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন পেলের কন্যা। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরেই তাঁর অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে টিউমার বের করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির সময় পেলের পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। 


কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের শরীর থেকে অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয়েছিল টিউমার। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পেলের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। গত কয়েকদিন ধরেই ব্রাজিলের সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি পেলে। এতদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ফলে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। যদিও পরে জানানো হয় হাসপাতালের তরফে যে, পেলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ধীরে ধীরে।