সিডনি: ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রলিয়া। এবার সেই বিশ্বজয়ের স্মৃতিচারণায় সেই দলের অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য টম মুডি। ইংল্যান্ডের হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট চলছে। সেই টুর্নামেন্টে ওভাল ইনভিন্সিবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন টম মুডি। লর্ডস স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে এসেছিল ওভাল দলটি। সেখানে এসেই নিরানব্বই বিশ্বকাপের স্মৃতিতে ডুব দিলেন মুডি। 


প্রাক্তন অজি তারকা জানান, অস্ট্রেলিয়া সেই টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবেই খেলতে নেমেছিল। কিন্তু প্রথম অর্ধে একেবারেই ভাল পারফর্ম করতে পারেনি অজিরা। মুডি বলছেন, ''আমরা ওই টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবে খেলতে নেমেছিলাম। কিন্তু শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি আমাদের। একটা সময় এমন পরিস্থিতি ছিল যে আমাদের টানা সাতটি ম্য়াচ জিততে হত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। সেই দলের সদস্য হিসেবে আমাদের কাছে ওই সাতটি ম্য়াচ ভীষণ স্পেশাল ছিল।''


রিকি পন্টিংকে নিয়েও একটি মজাদার মন্তব্য করেন মুডি। তিনি বলেন, ''আমরা একটা দীর্ঘ সময় একসঙ্গে ছিলাম ড্রেসিংরুমে। নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলাম। পরিবারের সদস্য়রাও এসেছিল। সাধারণত সেই সময় আমরা টেস্ট ও ওয়ান ডে সিরিজ জেতার পর আমরা গোটা দল সমবেত সঙ্গীত গাইতাম। রিকি পন্টিং ছিল আমাদের প্রধান গায়ক।''


সেবার ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল অজিরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩২ রানে অল আউট হয়ে যায় পাক শিবির। রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২০.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ৩৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্য়াচের সেরা হন প্রয়াত শেন ওয়ার্ন। সেবার টুর্নামেন্টে ৫ ইনিংসে ১১৭ রান করেছিলেন মুডি। বল হাতেও ৭ উইকেট নেন তিনি। 


ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন টম মুডি। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ হিসেবেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভারতীয় ক্রিকেটের সাম্প্রতিক সময়ের দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্সের পেছনে আইপিএলের অবদান অনস্বীকার্য বলে মনে করেন মুডি। তিনি কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, আইপিএল তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট। প্রতিটা দেশ এই টুর্নামেন্টে তাদের প্লেয়ারদের দিকেও তাকিয়ে থাকে। বিশ্বের সব উঁচু মানের প্লেয়াররা খেলে থাকে এই টুর্নামেন্ট। ভারতে এমন টুর্নামেন্ট এখানকার ঘরোয়া ক্রিকেটারদের খেলার মান আরও উন্নত করেছে।'' আগামী আইপিএলে নতুন কোনও ফ্র্য়াঞ্চাইজির কোচ হিসেবে দেখা যায় কি না মুডিকে, তা এখন দেখার।