লন্ডন: উইম্বলডনের মঞ্চে ক্রিকেটারদের দেখা পাওয়া নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই সচিন তেন্ডুলকরকে দেখা গিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে উইম্বলডন দেখতে এসেছিলেন বেন স্টোকস, জো রুট, জস বাটলার তিন ইংরেজ ব্য়াটারও। এবার অল ইংল্য়ান্ড কোর্টে টেনিসের স্বাদ চেখে দেখলেন রোহিত শর্মা। দেশে যখন তাঁর আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুকেশ ও নীতা আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। তখন তা উপেক্ষা করেই বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছেন রোহিত।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই অনন্ত-রাধিকার বিয়ে উপলক্ষে আম্বানি পরিবারে একটু পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রোহিত ও রীতিকা ছিলেন। এছাড়াও ছিলন হার্দিক, সূর্যকুমাররাও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের যে যে সদস্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের, তাদের প্রত্যেককে সেদিন সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আসলে গত এক বছরে মুম্বই শিবিরের সঙ্গে রোহিতের সম্পর্ক যে খুব একটা ভাল নয়, তা সবাই জানেন। তাঁর থেকে নেতৃত্বও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আসন্ন মরশুমে আইপিএলে মুম্বইয়ের হয়ে আর দেখা যাবে না রোহিতকে, এটাই নিশ্চিত। তবুও সেদিনের সংবর্ধনা মঞ্চে নীতা আম্বানি যেভাবে জড়িয়ে ধরেছিলেন রোহিতকে ও কেঁদেছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল যে সম্পর্কের বরফ গলেছে। কিন্তু উইম্বলডনের মঞ্চে রোহিতের ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পুরোটাই ছিল লোক দেখানো। রোহিত শর্মা বিয়ের নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তো? এমন প্রশ্নও উঠছে।
উল্লেখ্য়, গত ২৯ জুন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টােয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারত। সেখানে বিশ্বজয়ের পর অনেকদিন ক্যারিবিয়ান মাটিতেই আটকে থাকতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। ঘূর্ণিঝড় বেরিলের কারণে সেখানেই টিম হোটেলেই বন্দি ছিলেন তাঁরা। যদিও দেশে ফেরার পর রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এছাড়াও মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভের রাজপথে হুডখোলা বাসে বিজয়যাত্রায় অংশ নেন সবাই।
২০০৭ সালের পর আরও একবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পর রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন হয়েছে এই ফর্ম্য়াটে। ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে জিতেছিল ভারত। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত।