সন্দীপ সরকার, কলকাতা: হাতে ছিল ২৭০ রানের লিড। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেরা ব্যাটিং করার পথে হাঁটেননি শুভমন গিলরা (Shubman Gill)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে ঠেলে দেন ফলো অনের রাস্তায়। এই আশায় যে, প্রথম ইনিংসে ২৪৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে ফের অল্প রানে মুড়িয়ে দেওয়া যাবে। ইনিংসে জিতে সিরিজ ২-০ করতে মরিয়া ছিল ভারত। যাতে নিউজ়িল্যান্ডের কাছে- দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের ক্ষতে কিছুটা অন্তত প্রলেপ দেওয়া যায়।

Continues below advertisement

কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের কাজটা কঠিন করে তুলেছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। শুরুতে দুই উইকেট হারালেও তৃতীয় উইকেটে ১৭৭ রান যোগ করে প্রত্যাঘাত করেছেন জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ। ভারতীয় দলের লিডও প্রায় পরিশোধ করে দেওয়ার পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। কারও কারও আশঙ্কা, চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে গিয়ে কোনও অঘটন না ঘটে যায়।

যদিও সেরকম আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। জাতীয় দলের কিংবদন্তি প্রাক্তন অধিনায়ক সোমবার সকালে ইডেনে এসেছেন বাংলার প্র্যাক্টিস দেখতে। রঞ্জি ট্রফিতে বুধবার অভিযান শুরু করছে বাংলা। প্রতিপক্ষ উত্তরাখণ্ড। তার আগে সৌরভ এসেছিলেন বাংলার ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করতে।

Continues below advertisement

বাংলার ড্রেসিংরুম থেকে বেরনোর পরই সৌরভকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ব্যাটাররা দ্বিতীয় ইনিংসে পাল্টা লড়াই করছেন। শুভমন গিলের ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত কি সঠিক ছিল? বরং ভারত ব্যাট করে দ্রুত আরও কিছু রান তুলে চতুর্থ ইনিংসে ভাঙা পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পরীক্ষা নিলে ভাল হতো না?

সৌরভ বললেন, 'ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত সঠিক। একটা দল গোটা সিরিজে একটা করে সেশনে অল আউট হয়ে যাচ্ছে। তাদের ফলো অন করিয়ে ঠিকই করা হয়েছে।' ভারতের জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী সৌরভ। বললেন, 'এখনও অনেক খেলা বাকি। ভারত জিতবে। ভারত খুব ভাল দল।'

দুশো রানের লিড থাকলেই টেস্টে কোনও দলকে ফলো অন করানো যায়। তাতে প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবেও ধাক্কা দেওয়া যায়, সুযোগ বাড়ে ম্যাচ জেতার। তবে প্রচলিত সেই ধারণাটা ধাক্কা খায় ২০০১ সালে। ইডেনে ভারতকে ফলো অন করিয়ে ম্যাচ হেরেই বসেছিল স্টিভ ওয়র অস্ট্রেলিয়া। সেই থেকেই কোনও দলই ফলো অন করানোর আগে দুবার ভাবে। চতুর্থ ইনিংসে নিজেরা ব্যাট করার ঝুঁকি নেয় না। 

যদিও নয়াদিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে ফলো অন করানোর রাস্তাতেই হেঁটেছেন শুভমন।