ধর্মশালা: বুমরা না খেললেই ভারতীয় দল নাকি ভালো পারফর্ম করে। হ্যাঁ, এই ধরণের একটা বিষয় বারবার চোখে পড়ে। ঠিক যেমন এদিন জল ধর্মশালায়। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তারকা পেসারকে। দুই পেসার হিসেবে নামলেন তরুণ অর্শদীপ ও হর্ষিত। আর জ্বলে উঠলেন শুরু থেকেই। যার জন্য প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রানেই অল আউট হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। 

Continues below advertisement

এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। জসপ্রীত বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তাঁর পরিবর্তে খেললেন হর্ষিত রানা। অন্যদিকে কুলদীপ যাদব ঢুকে পড়লেন অক্ষর পটেলের জায়গায়। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে শুরুতেও ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। প্রথম ওভারেই হেন্ড্রিক্সকে ফেরালেন অর্শদীপ। এর পরের দুটো ওভারে পরপর ডি কক ও ব্রেভিসকে ফিরিয়ে দেন হর্ষিত। মাত্র ৩ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। সেখান থেকে ফিরে আসাটা চাপেরই ছিল। 

একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন এইডেন মারক্রাম। একদিকে যখন উইকেট পড়েই যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার। অন্যদিকে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন চেষ্টা করছিলেন স্কোরবোর্ড সচল রাখার। বাকিরা যেখানে ক্রিজে টিকতেই পারছেন না, সেখানে অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন মারক্রাম। ফেরেইরা ও নোখিয়া মিলে কিছুটা সাপোোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। মারক্রাম ৬১ রানের ইনিংস খেললেন। 

Continues below advertisement

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। তিনিই বিশ্বের এক নম্বর বোলার কুড়ির ফর্ম্যাটে। বরুণ এদিন আক্রমণে এসে ফিরিয়ে দেন ফেরেইরা ও ইয়েনসেনকে। অর্শদীপ নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ১৩ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। প্রথম দুটো ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করলেও পরের দুটো ওভারে একটু বেশিই রান খরচ করে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন রানা।

বিরাটকে টেক্কা দিতে পারবেন অভিষেক?

২০১৬ সালে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ৩১ ম্যাচে ১৬১৪ রান করেছিলেন ৮৯.৬৬ গড়ে। যা এতদিন ধরে ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে কুড়ির ফর্ম্যাটে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে হওয়া সর্বাধিক রান কোনও ব্যাটারের। সেটিই টেক্কা দেওয়ার হাতছানি শর্মাজির সামনে। এর জন্য আর ৮৭ রান করতে হবে ভারতীয় ওপেনারকে। অভিষেক এখনও কিন্তু ৩৯ ম্যাচে ১৫৩৩ রান করেছেন।