বার্বাডোজ: শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। ক্রিজে তখনও ছিলেন ডেভিড মিলার। দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) ক্রিকেটের বহু যুদ্ধের সৈনিক। এরকম পরিস্থিতিতে আইপিএল ে কত ম্য়াচ জিতিয়েছেন। এদিনও সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। দেশকে প্রথমবার বিশ্বমঞ্চে চ্যাম্পিয়ন করার। হার্দিক পাণ্ড্যর (Hardik Pandya) হাতে শেষ ওভারের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। প্রথম বলেই মিলার তুলে পারলেন। লং অনের ওপর দিয়ে বলটা বেরিয়ে যাওয়ার কথা বাউন্ডারি লাইনের বাইরে। ছক্কা হবেই, এমনই একটা শট হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই বাউন্ডারি লাইনে সব হিসেব বদলে দিলেন তিনি। নিজের শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কেরিয়ারের এমনকী ক্রিকেট ইতিহাসেও বলা ভাল সেরা ক্যাচটা লুফে নিলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)।
এদিন ব্যাট হাতে রান পাননি সূর্যকুমার। মাত্র ৩ রান করে প্য়াভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। কিন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচটি ম্য়াচের লুফে নিলেন সূর্যই। ভারতীয় দল গত কয়েক বছরে ব্যাটে বলে পারফরম্য়ান্সের সঙ্গে সঙ্গে ফিল্ডিং নিয়েও বেশ খেটেছে। তারই নমুনা দেখা গেল বিশ্বকাপের ফাইনালে। মিলার নিজে ১৭ বলে ২১ রান করে ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। শেষ ৪ ওভারে একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। সেখান থেকেই ম্য়াচের মোড় ঘোরান একবার যশপ্রীত বুমরা। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে মাত্র ২ রান খরচ করেন ভারতের তারকা বোলার। কিন্তু এরপরও তিনটি ওভারে চাপ ছিলই। কারণ ক্রিজে ছিলেন মিলার। তবে অর্শদীপের উনিশতম ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন। পরের ওভারে প্রথম বলেই মিলারকে আউট করেন হার্দিক। আর সেই ক্যাচটিই লুফে নেন সূর্যকুমার।
এদিকে ফাইনালের পরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন বিরাট কোহলি। গোটা টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে করেছিলেন ৭৫ রান। ফাইনালে করলেন ৫৯ বলে ৭৬। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। ম্যাচের সেরা হয়েছেন কোহলি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে কোহলি বলেন, 'এটাই আমার শেষ টি-২০ বিশ্বকাপ ছিল। এটাই আমরা অর্জন করতে চেয়েছিলাম। একদিন মনে হয় আমি এক রানও পাব না আর তারপর এরকমই হয়। ঈশ্বর মহান। এইরকম পরিস্থিতি, এরকম মরণ-বাঁচন পরিস্থিতিতে সেরাটা দিতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার।'