ত্রিনিদাদ: এটাই হওয়ার ছিল। এটাই হল। হেসেখেলে ৯ উইকেটে আফগানিস্তানকে (Afghanistan) হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) ফাইনালে পৌঁছে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। ৫৭ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৮.৫ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুধুমাত্র ডি ককের উইকেট হারিয়েছিল তারা। তবে রেজা হেন্ড্রিক্স ও অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম ক্রিজে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তবে বল হাতে দুর্দান্ত স্পেলের জন্য ম্য়াচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মার্কো ইয়েনসেন। আগামী ২৯ জুন ফাইনালে ভারত ও ইংল্যান্ড ম্য়াচের বিজয়ীর বিরুদ্ধে খেলতে নামবে প্রোটিয়ারা।


মাত্র ৫৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এই ম্য়াচ যে বাঁচানো সম্ভব হবে না আফগানিস্তানের তা রশিদ, নবিরা নিজেরাও হয়ত জানতেন। তবুও একটা লড়াই আশা করা গিয়েছিল। কারণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও অনেক কম রানের পুঁজি নিয়ে শেষে ম্য়াচ জিতে নিয়েছিল আফগানিস্তান। প্রথম স্পেলে ফারুকি ও নবীন মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েও দিয়েছিল। ফারুকির দুরন্ত ইনস্যুইয়ে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। তখন প্রোটিয়াদের স্কোর মাত্র ৫। কিন্তু সেখান থেকেই যে শাঁড়াশি চাপ দেওয়ার দরকার ছিল, সেটাই করতে পারেননি আফগান বোলাররা। ধীরে ধীরে ক্রিজে সেট হতে থাকেন হেন্ড্রিক্স ও প্রোটিয়া অধিনায়ক মারক্রাম। প্রতি ওভারে অল্প অল্প করে রান তুলে লক্ষ্যমাত্রার কাছে পৌঁছে যান তাঁরা শেষ পর্যন্ত। ৮.৫ ওভারে রান তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের যা প্রয়োজন ছিল। হেন্ড্রিক্স ২৯ ও মারক্রাম ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। 


এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রশিদ খান। কিন্তু ব্যাটাররা একেবারেই অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা রাখতে পারেননি। প্রথম থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আফগান শিবির ধারাবাহিকভাবে। ফর্মে থাকা দুই ব্য়াটার গুরবাজ ও ইব্রাহিমও শুরুতেই ফিরে যান ইয়েনসেনের বলে শিকার হয়ে। এরপর গুলবদিন, নবি, রশিদরা কেউই রান পাননি। এই ভয়টাই ছিল আফগান শিবিরে। কারণ তাদের ব্যাটিং দুর্বলতা আরও একবার চোখের সামনে ভেসে এল শক্তিশালী বোলিং অ্য়াটাকের বিরুদ্ধে। তবুও আশা করা গিয়েছিল কোনওভাবে ১০০ রানের গণ্ডি পেরলে হয়ত একটা লড়াই দেখা যাবে। কিন্তু ৫৬ তেই অল আউট হয়ে যায় তারা। 


মার্কো ইয়েনসে নিজের ৩ ওভারের স্পেলে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। প্রোটিয়াদের টপ অর্ডারকে তিনিই ভাঙেন। ফাইনালেও কিন্তু এই ইয়েনসেন-রাবাডা জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন।