মুম্বই: ফাইনাল ম্য়াচে তাঁর শেষ দুটো ওভারে ম্য়াচের রাশ দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) থেকে ফের ভারতের দিকে নিয়ে চলে এসেছিল। নিজের ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৮ রান খরচ করে তুলে নিয়েছিলেন দুটো উইকেট। শুধুই কি তাই। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের আঠারোতম ওভারে মাত্র দু রান খরচ করেছিলেন, সঙ্গে মার্কো ইয়েনসেনের উইকেট। ম্য়াচ জেতার স্বপ্ন দেখা প্রোটিয়া শিবির সেখানেই প্রথম ধাক্কাটা খেয়েছিল। ক্রিজে মিলারের মত ব্যাটার অপরাজিত থাকলেও, নন স্ট্রাইকার এন্ডে থেকে যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) ম্য়াজিকাল স্পেল দেখে যাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না তাঁর। এভাবেই শুধু ফাইনাল নয়, গোটা টুর্নামেন্টে বারবার ম্য়াচ প্রতিপক্ষের হাত থেকে কেড়ে এনেছেন।
শুধু দেশের নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের অন্য়তম সেরা পেসার বুমরাকে তো বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়ের মঞ্চ থেকে প্রজন্মের সেরা বোলারও আখ্যা দিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। বুমরা যদিও অনেক বেশি বিনয়ী। বোর্ডের সংবর্ধনা মঞ্চে যখন উঠলেন বুমরা তখন গ্যালারির সমর্থকদের কাছে ঘরের ছেলে। এই মাঠেই তো খেলে আসছেন গত ১০ বছর ধরে আইপিএল। কিন্তু এমন ছবি মুম্বইয়ের আগে কখনও দেখেননি। তারকা ডানহাতি পেসার বলছেন, ''মাঠের এই দৃশ্য দেখে আমি অবাক। দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটার হিসেবে এসেছিলাম এই মাঠে। কিন্তু আজ এই মাঠের ও মুম্বইয়ের রাস্তার যে ছবি দেখলাম, আমি জীবনেও আজ পর্যন্ত এমনটা কখনও দেখিনি। আমরা কখনও এই মুহূর্তটা ভুলব না। আমি নিজেকে এখনও তরুণ সদস্য মনে করি দলের। আমাদের একটাই লক্ষ্য যে ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ম্য়াচের পর আমি কোনওদিনও কাঁদিনি কখনও। কিন্তু সেদিন ফাইনালের শেষে নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি আর।''
সঞ্চালক গৌরব কপূর মজা করে প্রশ্ন করলেন, বিরাট, রোহিত, জাডেজা অবসর নিয়ে নিলেন। আপনিও খুব তাড়াতাড়ি অবসর নেবেন না তো? বুমরা কিন্তু সমর্থকদের আস্বস্ত করলেন। তারকা পেসার বলছেন, ''আমার অবসর এখনও অনেক দূরের গল্প। কেরিয়ার তো সবে শুরু হল।''