নয়াদিল্লি: বছর তিনেক পরেই লস অ্যাঞ্জেলসের অলিম্পিক্সে আয়োজিত ইভেন্টগুলির মধ্যে ক্রিকেটও থাকতে চলেছে। সেই কথা মাথায় রেখেই সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশি করে ব্যাট, বলের এই লড়াইকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে, আরও নতুন নতুন দেশ, সমর্থক যাতে এই খেলার সঙ্গে যুক্ত হন, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে আইসিসি। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বেড়েছে মেগা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যাও। গত বছর উগান্ডাকে প্রথমবার কোনও সিনিয়র আইসিসি টুর্নামেন্টে খেলতে দেখা গিয়েছিল। আগামী বছরের বিশ্বকাপে একই লক্ষ্যে রয়েছে সামোয়াও। সেই লক্ষ্যেই তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন এক কিংবদন্তি।

এক সময় আইপিএল কাঁপিয়েছেন। অতীতে বিশ্বজয়ের কৃতিত্বও রয়েছে। এবার সেই ক্রিকেটারই খেলতে নামবেন সামোয়ার হয়ে। কে তিনি? তিনি নিউজ়িল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন অধিনায়ক রস টেলর (Ross Taylor)। বছর তিনেক আগেই তিনি অবসর ঘোষণা করেছিলেন। তবে সেই অবসরের সিদ্ধান্তে বদল ঘটালেন ৪১-র তারকা ক্রিকেটার। তাঁর মায়ের স্বদেশ সামোয়ার হয়েই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে মাঠে নামছেন টেলর। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনও ক্রিকেটারকে ভিন্ন দেশের হয়ে খেলতে হলে অন্তত তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়। এই এপ্রিলেই টেলর সেই সময়কাল পূর্ণ করেছেন। এবার তিনি মাঠে ফিরতে প্রস্তুত।  

তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও আবেগ থেকেই টেলর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'এটা অফিসিয়াল, আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি নীল রঙের জার্সি গায়ে চাপিয়ে সামোয়ার হয়ে ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছি। এটা শুধু আমার ভালবাসার খেলায় ফেরা না, এটা আমার সংস্কার, সংস্কৃতি, গ্রাম ও পরিবারের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পরম সৌভাগ্য। মাঠ ও মাঠের বাইরে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে দেওয়ার এটাই আমার কাছে সুযোগ।'

রস টেলর হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটারের মধ্যে অন্যতম যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফর্ম্যাটেই শতাধিক ম্যাচ খেলেছেন। নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী ও ৪৫০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক ক্রিকেটারের প্রত্যাবর্তন এবং সামোয়ার দলে যোগ দেওয়া যে নিঃসন্দেহে বড় খবর, তা বলাই বাহুল্য। টেলরকে এশিয়া-পেসিফিক কোয়ালিফায়িং সিরিজ়ে খেলতে দেখা যাবে। সেখানে গ্রুপ ৩-এ ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে খেলবে সামোয়া। এই কোয়ালিফায়িং রাউন্ড থেকেই তিন দেশ পরের বছরের বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র পাবে।