ব্রিসবেন: তৃতীয় দিনের খেলাশেষেই দেওয়াল লিখনটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের চতুর্থ দিনে বেন স্টোকস এবং উইল জ্যাকস বেশ ভাল লড়াইটা করে ইংরেজদের মনে খানিকটা আশা জাগিয়েছিলেন। তবে আদপে তাতে লাভের লাভ কিছুই হল না। প্রথম টেস্টের মতো সিরিজ়ের দ্বিতীয় টেস্টেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (The Ashes 2025-26) পরাজিত হল ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্য়াচের সিরিজ়ে ২-০ এগিয়ে পুনরায় অ্যাশেজ দখলের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন স্টিভ স্মিথরা। অজ়িদের হয়ে জয়ের নায়ক মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) ও মাইকেল নেসের (Michael Neser)।
তৃতীয় দিনের খেলাশেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ছয় উইকেটের বিনিময়ে ১৩৪ রান। এইদিনের প্রথম সেশনে ইংল্যান্ড কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান যোগ করে। এই প্রথম কোনও সেশনে ইংল্যান্ড কোনও উইকেট হারায়নি। এরপরেই ইংল্যান্ড সমর্থকদের আশা বাড়ে। তবে মাইকেল নেসের অবশেষে জ্যাকসকে ৪১ রানে আউট করে সেই পার্টনারশিপ ভাঙেন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস লড়াকু অর্ধশতরান করেন। তবে তাঁকেও নেসেরই সাজঘরে ফেরত পাঠান।
সপ্তম উইকেটে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ পর ইংল্যান্ড মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে শেষ চার উইকেট হারায়। ২৪১ রানে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়। জয়ের জন্য অজ়িদের সামনে মাত্র ৬৫ রানের টার্গেট নির্ধারিত হয়। মাইকেল নেসের ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ড দুইটি করে উইকেট নেন।
সামনে অল্প রানের লক্ষ্য। ম্যাচ জিততে অস্ট্রেলিয়ার খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না, হলও না। মাত্র ১০ ওভারেই অজ়িরা নিজেদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ট্র্যাভিস হেড বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিংটা শুরু করেন। তবে তিনি ১০০ স্ট্রাইক রেটে ২২ রান করেন। গাস অ্যাটকিনসন তাঁকে আউট করেন। তিনিই মার্নাস লাবুশেনকেও তিন রানে সাজঘরে ফেরান। তবে মাত্র ৬৪ রানের পুঁজি নিয়ে এই লড়াই জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। নেমেই স্টিভ স্মিথ বিধ্বংসী মেজাজে মাত্র নয় বলে ২৩ রান করেন। দুইটি ছয় ও দুইটি চার মারেন তিনি। জ্যাক ওয়েদারাল্ড ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।