মুম্বই: নভেম্বরের ১৬। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বক্রিকেটের চোখের জল ফেলার দিন। উদযাপনের মুহূর্ত।
ঠিক ১১ বছর আগে, ২০১৩ সালে ১৬ নভেম্বরই ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছিলেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। সেদিন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত (India vs West Indies)। ঘরের মাঠে দুশোতম টেস্ট খেলে নতুন মাইলফলক গড়েছিলেন সচিন। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে খেলেছিলেন দুশো টেস্ট। সেটাই ছিল সচিনের শেষ টেস্ট। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কেরিয়ারে ইতি টেনেছিলেন সচিন। ১৬ নভেম্বরের পর আর তাঁর সেই স্বর্গীয় ব্যাকফুট পাঞ্চ, স্ট্রেট ড্রাইভ দেখতে পাননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। সবই সুখস্মৃতি হয়ে থেকে গিয়েছে। পেয়েছে অমরত্ব।
২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর দিনটি কেমন কাটালেন সচিন? ক্রিকেট মাঠ থেকে অনেক দূরে। তবে ক্রিকেট থেকে কি দূরে সরে থাকতে পারলেন মাস্টার ব্লাস্টার?
উত্তরটা হল, না। মজার একটি ছবি পোস্ট করলেন সচিন। প্রকৃতির কোলে। তবে ক্রিকেটের ছাঁচেই।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দুঃস্বপ্ন উপহার সঞ্জু-তিলকের, জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ডের বন্যা
সচিন নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। বিশালাকার তিনটি বৃক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনটি গাছ যেন তিনটি স্টাম্পের মতো।
সচিন সেই বৃক্ষত্রয়ীর সামনে দাঁড়িয়ে যেন স্টান্স নেওয়ার ভঙ্গিতে। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আপনারা কি কেউ অনুমান করতে পারেন কোন আম্পায়ার এত বড় স্টাম্প সাজিয়েছেন?'
২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন সচিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তাঁর বিদায়ী বক্তৃতা এখনও মানুষের স্মৃতিতে অমলিন। ২০০ টেস্টে ১৫৯২১ রান। ৫১ সেঞ্চুরি। ৪৬৩ ওয়ান ডে ম্যাচে ১৮৪২৬ রান। ৪৯ সেঞ্চুরি। ভারতের জার্সিতে একটি টি-২০ ম্যাচও খেলেছেন সচিন। করেছেন ১০ রান। একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ব্যাটার হিসাবেই সচিনকে মনে রেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন: আচমকাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন শুভমন, কী হল তরুণ ব্যাটারের?