মুম্বই: তাঁর শরীরের অবস্থার কথা জানতে পেরে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় রয়েছেন তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্যরাও। কিংবদন্তি কপিল দেব, সুনীল গাওস্কররা (Sunil Gavaskar) পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। এবার তাঁদের কথামতই ফের রিহ্যাবে যেতে রাজি হয়েছেন বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli)। কপিল দেবদের সাহায্য চাইছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। 


শারীরিকভাবেই শুধু নয়। আর্থিকভাবেও একেবারেই ভাল জায়গায় নেই কাম্বলি। কিছুদিন আগে সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল কাম্বলির রামাকান্ত আচরেকরের স্মৃতিতে এক অনুষ্ঠানে। সেখানেই কাম্বলির একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায়। ঠিকমত বসতেও পারছিলেন না। কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল। সচিন-কাম্বলি একে অপরের হাত মেলান। হাসতেও দেখা যায়। কিন্তু কাম্বলি যে পুরোপুরি অসুস্থ তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। এক ইউটিউব চ্যানেলে এসে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, ''আমার আর্থিক পরিস্থিত একেবারেই ভাল নয়। আমি নিজেও শারীরিকভাবে অসুস্থ ভীষণ। তবে আমার স্ত্রী যেভাবে সব সামলাচ্ছে, তার জন্য ওঁকে হ্যাটস অফ! তবে কপিল দেব, সুনীল গাওস্কররা আমার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। আমি রাজি তাঁদর কথা শুনতে। যতক্ষণ আমার পরিবার আমার পাশে আছে, আমি কিছুতে ভয় পাচ্ছি না। আমি রিহ্যাবে যেতে রাজি। আমি রিহ্যাব সম্পূর্ণ করে ফের ফিরে আসতে চাই সুস্থভাবে। আমাকে ফিরতেই হবে।'' 


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কাম্বলি জানান তিনি ইউরিন ইনফেকশনে ভুগছেন এবং সেই কারণেই তাঁর শরীর এত ভেঙে গিয়েছে। তবে আগের থেকে তাঁর বর্তমান পরিস্থিতি ভাল এবং প্রয়োজনে তিনি পুনরায় রিহ্যাবে যেতেও একেবারে তৈরি। ৫২ বছর বয়সি ভারতীয় প্রাক্তনী বলেন, 'আমি এখন অনেক ভাল আছি। আমার স্ত্রীর আমার খুব খেয়াল রাখে। ওই আমায় তিনটি ভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে ছোটে এবং আমায় ফিট হতেই হবে বলে। আমি যখনই পড়ে গিয়েছি, আমার ছেলে আমায় তুলেছে আর আমার স্ত্রী ও মেয়ে সবসময় আমার পাশে থেকেছে। ডাক্তাররা আমায় হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। প্রয়োজনে আমি রিহ্যাবেও যেতে রাজি। আমি কোনওকিছুকেই ভয় পাই না। আমার পরিবার তো আমার সঙ্গে রয়েছে।'


বিনোদ কাম্বলি ও সচিন তেন্ডুলকরের উত্থান একই সময়ে। একই কোচের থেকে তালিমও নেন দুইজনে। তবে 'মাস্টার ব্লাস্টার' যেখানে খ্যাতির শিখরে পৌঁছন, সেখানে কাম্বলি ধীরে ধীরে হারিয়েই যান। অতীতে সচিনের প্রতি ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন কাম্বলি। তাঁর দাবি ছিল সচিন তাঁকে যথেচ্ছ সাহায্য করেননি। সেই নিয়ে এতদিনে মুখ খুললেন কাম্বলি। তিনি যে স্রেফ বিরক্তি থেকেই এহেন মন্তব্য করেছিলেন বলে জানান কাম্বলি।