নয়াদিল্লি: ঘরের মাটিতে বিগত ছয় টেস্টের মধ্যে চারটিতেই হার। ইডেনে স্পিন সহায়ক পিচ চেয়ে সেই পিচেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে (India vs South Africa) ৩০ রানে পরাজয়। স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। আর সমালোচনার একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের (Mohammad Kaif) স্পষ্ট কথা ঘরের মাঠে ভারতের টেস্টে পরাজয় কেউ সহ্য করবে না এবং তাঁর মতে কোচ গৌতম গম্ভীরের ওপর নিঃসন্দেহেই চাপ বাড়ছে।
কাইফের দাবি ভারেতর এহেন পারফরম্যান্সের জেরে কোচ হিসাবে আলোচনায় ভিভিএস লক্ষ্মণদের (VVS Laxman) নাম স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসছে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে কাইফকে বলতে শোনা যায়, 'চাপ তো অবশ্যই বাড়ছে। সেই নিয়ে সন্দেহে অবকাশ নেই। অতীতে আমরা যদি অস্ট্রেলিয়ায় যেতাম, তাহলে আমাদের পরাজয় কার্যত নিশ্চিত ছিল এবং কেউই তা নিয়ে খুব একটা হতাশ হত না। অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডে পরাজয়টা স্বাভাবিক ছিল। তবে ভারতে নিজেদের দুর্গে পরাজয়টা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকা দুর্গ ভাঙল, নিউজ়িল্যান্ড এসে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে গিয়েছে। তাই স্বভাবতই চাপ বাড়ছে এবং সেই কারণেই লক্ষ্মণের নাম উঠে আসবেই এবং অন্যান্য ব্যক্তিরাও যারা কোচিংয়ের দৌড়ে রয়েছেন তাঁদের নাম ভাসছে।'
তিন দিনেই ইডেন টেস্ট শেষ হয়ে গেলেও ভারতীয় দল এখনও শহরেই রয়েছে। মঙ্গলবার টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের আগেই অনুশীলনের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিলেন কোচ গম্ভীর। সেইমতোই আজ রবীন্দ্র জাডেজা, সাই সুদর্শনরা ইডেনের নেটে অনুশীলন সারলেন। ২২ নভেম্বর থেকে গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে ইডেনেই এক দফা প্রস্তুতি সেরে নিল ভারতীয় দল।
গুয়াহাটিতেও স্পিন পরীক্ষার ইঙ্গিত রয়েছে। তাই মঙ্গলবার ইডেনে ভারতীয় দলের যে জনা ছয়েক ক্রিকেটার প্র্যাক্টিসে এসেছিলেন, তাঁদের বিশেষ প্র্যাক্টিসও চলল। এক পায়ে প্যাড পরে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করলেন রবীন্দ্র জাডেজা, সাই সুদর্শন, দেবদত্ত পাড়িক্কলরা। গম্ভীরকে দেখা গেল সুদর্শন ও দেবদত্তের সঙ্গে লম্বা আলোচনা করছেন। দ্বিতীয় টেস্টে শুভমন খেলতে না পারলে তাঁর পরিবর্ত হতে পারেন দু'জনের যে কেউ।
আর একটা ছবিও নজর কাড়ল। শুভমনের ঘাড়ে ব্যথার পর সিএবি-র কাছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেয়েও সময়ে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। যে কারণে মঙ্গলবার ভারতের প্র্যাক্টিসের সময় এক ঝাঁক চিকিৎসককে দেখা গেল। শহরের যে বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সিএবি-র চুক্তি রয়েছে, সেখানকার বেশ কয়েকজন চিকিৎসক মাঠে ছিলেন। কেউ কেউ বলাবলি করলেন, ঐচ্ছিক প্র্যাক্টিসে ক্রিকেটারের চেয়ে চিকিৎসকের সংখ্যা বেশি!