লন্ডন: ৭ থেকে ১১ জুন ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে (World Test Championship Final 2023) ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া (IND vs AUS)। সেই ম্যাচের পরপরই আবার ১৬ জুন থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাসেজ সিরিজও খেলবেন অজিরা। পাঁচ ম্যাচের সেই সিরিজ ঘিরেও উত্তেজনার পারদ ইতিমধ্যেই চড়তে শুরু করেছে। তবে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (Pat Cummins) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন যে অ্যাসেজ সিরিজ এখনও দেরি আছে, অজিদের প্রথম লক্ষ্য আপাতত ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়।


নজরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ


খেতাবি লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে কামিন্স বলেন, 'অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন (অ্যাসেজের) আগে কিন্তু আমাদের ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্টচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে হবে। অ্যাসেজ বা ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজগুলি যেখানে আমরা চার-পাঁচটা টেস্ট ম্যাচ খেলি, সেই সিরিজগুলি বড় সিরিজ, তবে দুই-তিন টেস্টের সিরিজগুলির (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে) তুলনামূলক গুরুত্ব কিন্তু একেবারেই কম নয়। বরং, বিশ্বস্তরে এর গুরুত্ব অনেক এবং এই সিরিজগুলি জয়ের জন্য বাড়তি লাভও রয়েছে।'


প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার দলে বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটার (আইসিসি ব়্যাঙ্কিং অনুযায়ী) মার্নাস লাবুশেন রয়েছেন। তিনি কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ডিউক বলে ভারতের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আগেভাগেই সতর্কবার্তা দিয়ে রাখছেন। লাবুশেন মনে করছেন ডিউক ভারতীয় বোলিং আক্রমণ আরও ভয়ঙ্ক হয়ে উঠতে পারে।


বছরের শুরুর দিকেই ভারত সফরে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে রবীন্দ্র জাডেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণিতে ভর করে অজিদের ২-১ হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে স্পিন সহায়ক পিচগুলিতেও ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের দুই মুখ মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজ বেশ প্রভাবিত করেছিলেন। সেই সিরিজের অঙ্গ ছিলেন বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটার (আইসিসি ব়্যাঙ্কিং অনুযায়ী) লাবুশেন। ভারতীয় বোলিংয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে তাই তিনি বেশ খানিকটা অবগত।


আরও সুবিধা


লাবুশেন নিজের সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দাবি করছেন ডিউক বলে ভারতীয় বোলাররা নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শনের আরও বেশি সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, 'এই তো মাস দুই আগেই ওদের বিরুদ্ধে আমরা সিরিজ খেললাম। তাই ওদের পরিকল্পনা, দক্ষতার বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহল। ওরা কিন্তু ডিউক বল হাতে আরও বেশি করে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাবে।'


আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?