নয়াদিল্লি: মহম্মদ কাইফ, বিরাট কোহলি, উন্মুক্ত চন্দদের পথে হেঁটে ভারতের ক্রিকেটকে গর্বের মুহূর্ত উপহার দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। ভারতের সিনিয়র দলে এখনও সুযোগ পাননি। তবে তাঁর যা প্রতিভা, তাতে অদূর ভবিষ্যতে তাঁকে টিম ইন্ডিয়ায় দেখা যাবে বলে মনে করেন অনেকে।


যদিও সেই যশ ধুলকে (Yash Dhull) নিয়ে আচমকা উদ্বেগের মেঘ তৈরি হয়েছিল। কারণ, তরুণ ক্রিকেটারের হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।


জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) নিয়ম মাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় চিকিৎসকেরা দেখতে পান, যশের হৃদপিণ্ডে একটি ছিদ্র রয়েছে। তাঁদের পরামর্শেই অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার। পরে যশ ধূলের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর হৃদযন্ত্রের ছিদ্রটি জন্ম থেকেই ছিল।


এনসিএ চিকিৎসকদের কথা মতো অস্ত্রোপচার করানোর পর অবশ্য সুস্থ যশ। অস্ত্রোপচারের এক মাস পরেই মাঠে ফিরছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। যশের ব্যক্তিগত কোচ রাজেশ নাগর সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, জুলাই মাসের গোড়ায় তাঁর ছাত্রের অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন তিনি সুস্থ।


জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে একটি শিবির চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন যশ। তখনই পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, তাঁর হৃদপিণ্ডে একটি ছিদ্র রয়েছে। রাজেশ নাগর বলেছেন, 'ছোটখাট অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই ওর সেরে উঠতে খুব বেশিদিন সময় লাগেনি।' পাশাপাশি সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, 'এখন ও ১০০ শতাংশ সুস্থ বলব না। ৮০ শতাংশ সুস্থ হয়েছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।' এখন চলা দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে সেন্ট্রাল দিল্লি কিংস দলের হয়ে খেলছেন যশ। একটি হাফসেঞ্চুরিও করেছেন। 


বিশ্বকাপে সাফল্যের পরই ২০২২ সালে দিল্লির জার্সিতে রঞ্জি অভিষেক হয় যশের। প্রথম ম্যাচেই তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করে নজর কেড়ে নেন তিনি। ২০২৩ সালে তাঁকে দিল্লির অধিনায়ক করা হয়। যদিও তারপর থেকেই ছন্দ হারান যশ। গত মরশুমে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ভারত এ দলের হয়ে খেলেছেন। সিনিয়র দলে সুযোগের অপেক্ষায়।


আরও পড়ুন: ফের বিরল দৃশ্য কলকাতায়, মাঠের শত্রুতা ভুলে ন্যায়বিচারের দাবিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে