নয়াদিল্লি: একমাস আগেই হার্টের অপারশেন করিয়ে ফিরেছেন। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy 2024) নেমেই শতরান হাঁকালেন যশ ধূল (Yash Dhull)। দিল্লির হয়ে খেলতে নেমে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে (Delhi vs Tamilnadu) সেঞ্চুরি করলেন অনূর্ধব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক। ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছেন যশ। তামিলনাড়ু বোর্ডে তুলেছিল ৬৭৪/৬। যার পরিবর্তে খেলতে নেমে দিল্লি ২৬৬ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে যায়। অন্যান্য ব্যাটাররা রান না পেলেও যশ ধূল দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন। মাস দুয়েক আগে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) নিয়ম মাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় চিকিৎসকেরা দেখতে পান, যশের হৃদপিণ্ডে একটি ছিদ্র রয়েছে। তাঁদের পরামর্শেই অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার। পরে যশ ধূলের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর হৃদযন্ত্রের ছিদ্রটি জন্ম থেকেই ছিল।


ধূল বলেন, ''হার্টের অপারেশনের পর এটাই আমার প্রথম বড় ইনিংস। তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল রান পাওয়া। এতদিন পরে ফিরে আসার পর যদি এমন ইনিংস তুমি খেলতে পার, তবে আত্মবিশ্বাস এমনিতেই বেড়ে যায়।'' আগামী নভেম্বরে ২২ বছরে পা রাখবেন যশ। তিনি বলছেন, ''জন্ম থেকেই আমার হৃদপিণ্ডে একটি ছিদ্র রয়েছে জানতে পেরেছিলাম। চিকিৎসকরা বলেছিলেন যে এটা মাইনর অপারেশন হবে। বেঙ্গালুরুতে এনসিতে থাকার সময়ই আমি এই বিষয় জানতে পেরেছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর পরে আমি আমার চেনা মাঠে নামতে পেরেছি ফের। খেলতে পেরেছি, এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।''


উল্লেখ্য, মাস দুই আগে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে একটি শিবির চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন যশ। তখনই পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, তাঁর হৃদপিণ্ডে একটি ছিদ্র রয়েছে। রাজেশ নাগর বলেছেন, 'ছোটখাট অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই ওর সেরে উঠতে খুব বেশিদিন সময় লাগেনি।' পাশাপাশি সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, 'এখন ও ১০০ শতাংশ সুস্থ বলব না। ৮০ শতাংশ সুস্থ হয়েছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।' এখন চলা দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে সেন্ট্রাল দিল্লি কিংস দলের হয়ে খেলছেন যশ। একটি হাফসেঞ্চুরিও করেছেন। 


বিশ্বকাপে সাফল্যের পরই ২০২২ সালে দিল্লির জার্সিতে রঞ্জি অভিষেক হয় যশের। প্রথম ম্যাচেই তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করে নজর কেড়ে নেন তিনি। ২০২৩ সালে তাঁকে দিল্লির অধিনায়ক করা হয়।