পুণে: ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ়ে সুযোগ পেয়ে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়ে ছিলেন। তারপরে বিশ্রাম নয়, সোজা ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে নেমে পড়েন যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। মুম্বইয়ের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মাঠে নেমে পড়েন যশস্বী জয়সওয়াল। বেশ ভাল ছন্দে ব্য়াটিংও করেন তিনি। তবে তারপরেই বিপত্তি।
পুণেতে রাজস্থানের বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন যশস্বী। ম্যাচে যশস্বীর ব্যাটে তেমন রান আসেনি। তবে মুম্বই তিন উইকেটে ম্যাচও জেতে। তবে তারপরেই হাসাপাতালে ভর্তি করতে হয় তারকা ওপেনারকে। কিন্তু কেন হাসপাতালে ভর্তি হতে হল যশস্বীকে? কী হয়েছে তাঁর? রিপোর্ট অনুযায়ী যশস্বী পেটে প্রবল গ্যাসের ব্যথা শুরু হয়। সেই থেকেই তাঁকে আদিত্য় বির্লা হসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রিপোর্টে দাবি করা হয় যশস্বী গোটা ম্যাচ জুড়েই পেট ব্যথার সমস্যায় ভুগছিলেন। পেট কামড়াচ্ছিল তাঁর। তবে ম্যাচের পর ব্যথা আরও বাড়ে।
হাসপাতালে যশস্বীর সিটি স্ক্যান করা হয় এবং আল্ট্রাসাউন্ডও হয়। পরবর্তীতে তাঁকে ডাক্তাররা লিখে ওষুধ খেতে বলেন এবং তাঁর যে পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন, তাও জানিয়ে দেয়।
নিলামে ভাগ্য বদল
বয়স ২৯ বছর। এর আগে কখনও আইপিএলের মঞ্চে খেলেননি। এই প্রথমবার আইপিএলের নিলামে নাম দিয়েছিলেন। আর প্রথমবারেই বাজিমাত করলেন। ৩০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস ছিল। সেখান থেকে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দরে আকিব নবিকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন গত দুই মরশুমে। জম্মু কাশ্মীরের জার্সিতে একের পর এক ম্য়াচে দাপট দেখিয়েছেন বল হাতে।
এদিন নিলামে প্রথম আকিবের জন্য দর হাঁকায় রাজস্থান শিবির। সঙ্গে সঙ্গে যোগ দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। দ্রুত ১ কোটি পেরিয়ে গিয়েছিল দর। রাজস্থান দৌড় থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু আরসিবি লড়াইয়ে নামে দিল্লির সঙ্গে। মাঝে ২ কোটি পেরিয়ে যাওয়ার পর লড়াইয়ে আসে সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় দলে আসেন আকিব।
তরুণ ই পেসার নতুন বলে দারুণ স্যুইং করাতে পারেন বল। এছাড়াও পুরনো বলেও দক্ষ তিনি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন। ২০২৫-২৬ রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম পাঁচ সর্বাধিক উইকেট শিকারির তালিকায় নাম ছিল আকিবের। তিনি ৯ ইনিংসে ২৯ উইকেট নিয়েছিলেন। তিনবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ২৪ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট, তাঁর কেরিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।