সিডনি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এখনও অনেকটাই দেরি রয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে উদ্বেগ তৈরি হল স্টিভ স্মিথকে নিয়ে। কনুইয়ের চোট ভোগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসনম্যানকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন স্মিথ?


চোটের জন্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ও বাংলাদেশ সফর থেকে ছিটকে গিয়েছেন স্মিথ। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট মহলের খবর, তাঁর কনুইয়ের পুরনো ব্যথা ফের বেড়েছে। যে চোটের জন্য চলতি বছরের গোড়ার দিকে মাস দুয়েক খেলতে পারেননি তিনি। আইপিএলে আগে যে ব্যথা ভুগিয়েছিল তাঁকে এবং এক সময় আইপিএল খেলা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এখনও চার মাস দেরি হলেও তাঁর মধ্যে স্মিথ সেরে উঠবেন কি না, তা হলফ করে বলতে পারছেন না কেউই। এমনকী বছরের শেষে অ্যাশেজ সিরিজ়েও তাঁর খেলা নিয়ে আচমকাই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ও বাংলাদেশ সফরের দলে স্মিথ না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হন্স বলেছিলেন, “সবাইকে দলে না পাওয়ায় খারাপ লাগছে। তবে ক্রিকেটারদের নেওয়া সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই আমরা। বিশ্বকাপ এবং অ্যাশেজের আগে স্মিথকে সুস্থ অবস্থায় পেতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ওকে।” একসঙ্গে সাতজন প্রথম সারির তারকার বিদেশ সফর থেকে সরে দাঁড়ানোকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান জাতীয় নির্বাচক ট্রেভর হন্স। যদিও তিনি এটা নিশ্চিত করেছেন যে, স্টিভ স্মিথ চোটের জন্য নাম তুলে নিয়েছেন। হন্স আশা প্রকাশ করেন, টি-২০ বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের আগে স্মিথ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন।


২০১৯ সালে স্মিথের এই কনুইয়েই অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তিনি তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিলেন। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে স্মিথের খেলা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলের প্রথম একাদশে তিন নম্বরে ব্যাট করেন স্মিথ। তবে কখনও কখনও ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী চারেও নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে না পারলে তা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে বড় ধাক্কা হবে।