বেঙ্গালুরু: অভিশপ্ত করোনা এমনও নিয়তি ডেকে আনতে পারে!


মাত্র ১৪ দিন আগে করোনায় প্রাণ কেড়েছিল মায়ের। এবার ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বেদা কৃষ্ণমূর্তির দিদিরও মৃত্য়ু হল মারণ ভাইরাসে। ভারতীয় ক্রিকেট মহলে যে খবরে শোকের ছায়া।


গত ২৪ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা দলের ক্রিকেটার বেদা কৃষ্ণমূর্তির মা। তাঁর দিদিও কোভিড আক্রান্ত বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন বেদা নিজেই। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছিলেন দিদি বৎসলা শিবকুমার। বেঙ্গালুরু থেকে ২৪৫ কিলোমিটার দূরে চিকমাগালুরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তবে তিনি কিছুটা সেরেও উঠেছিলেন। বুধবার সন্ধে পৌনে ছটায় আচমকাই মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। যা জানাজানি হওয়ার পর শোকস্তব্ধ দেশের ক্রিকেট মহল।


দিন দিন আরও ভয়াবহ হচ্ছে করোনা। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের বেহাল দশা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ঝুলন গোস্বামী-মিতালি রাজদের সতীর্থের মাও। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তবে বেদা জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেও করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। যেহেতু তিনি আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছিলেন, তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তিনি সুস্থ আছেন।


২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বেদার মা চেলুভাম্বা দেবী প্রয়াত হন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ করোনা আক্রান্ত হন তিনি। প্রথমে হোম আইসোলেশনেই ছিলেন। তবে পরে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কর্নাটকের চিকামাগালুরুর কাদুর জেলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকে। বেদা ট্যুইট করে টকলিজুমাব ইনজেকশনের জন্য আবেদন করেছিলেন। আপদকালীন ভিত্তিতে ইঞ্জেকশনটি জোগাড়ের আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। তবে লাভ হয়নি। দেরি হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পরে বেদা ফের ট্যুইটারে জানিয়ে দেন, তিনি তাঁর মাকে হারিয়েছেন।



সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর দিদির অবস্থাও সঙ্কটজনক। জানা গিয়েছে, করোনায় তাঁর দিদির ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতেই মৃত্যু। বেদা ট্যুইট করে লিখেছেন, 'আমার জগৎ ছারখার হয়ে গেল। পাশে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। প্রিয়জনেদের আঁকড়ে থাকুন। নিরাপদে থাকুন।'