আগরতলা: দীর্ঘ ৮ বছরের অপেক্ষা। অবশেষে ফের জাতীয় স্তরে (National Level) কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছেন দীপা কর্মকার (Deepa Karmakar)। রিও অলিম্পিক্সে অংশ নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন প্রদুনোভা ভল্টে (Produnova Vault) নিজের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে। সোনাজয়ী আমেরিকার অন্যতম সেরা জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলসের সঙ্গে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন তিনি। ওড়িশার ভুবনেশ্বরে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী সিনিয়র জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ত্রিপুরার প্রতিনিধিত্ব করবেন অর্জুন ও পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত এই তারকা জিমনাস্ট। 


নিজের কেরিয়ারে বারবার চোট আঘাত দীপাকে ভুগিয়েছে। যার জন্য জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্টেও দেখা যায়নি তাঁকে। তবে প্যারিসি অলিম্পিক্সের জন্য নিজেকে নিঁখুতভাবে তৈরি করতে মরিয়া দীপা। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর তত্ত্বাবধানেই নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। নির্বাচনী ট্রায়ালে ছাত্রী ভাল পারফর্ম করবে, এই বিষয়ে আশাবাদী দীপাক কোচ। বিশ্বেশ্বর বলছেন, ''দীপা ধীরে ধীরে তাঁর ১০০ শতাংশ ফিটনেসের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ইভেন্টে ও অংশ নেবে।'' উল্লেখ্য সদ্য শেষ হওয়া এশিয়ান গেমসের ট্রায়ালেও দীপা শীর্ষস্থানে শেষ করেছিলেন। কিন্তু কিছু নিয়মের যাঁতাকলে পরে শেষ পর্যন্ত এশিয়াড গেমসে যেতে পারেননি। মাঝে দীর্ঘ ২১ মাস তিনি নির্বাসিত ছিলেন ডোপ সংক্রান্ত নীতি ভাঙার জন্য। এরপর লড়াইয়ে ফিরে এশিয়ান গেমসের ট্রায়ালে ভালো ফল করেন দীপা। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এবারের জুনিয়র ও সিনিয়র জিমন্যাস্টিক্সে অংশ নিতে চলেছে দেশের ২৮টি ইউনিটের ৫৫০ জন জিমন্যাস্ট।


দীপা বলেছেন, 'আমি এখন সম্পূর্ণ ফিট। চোট লাগতে পারে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়েই প্রোদুনোভা ভল্ট শুরু করেছিলাম। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর কাছে প্রস্তুতি শুরু করেছি। নিজের সেরাটা দিচ্ছি। যাতে অন্তত একটা অলিম্পিক্স পদক জিততে পারি, আর তারপর অবসর নিতে পারি।'


ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার । ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। ২০২৩-এর ১০ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।