বেঙ্গালুরু: ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) পরই জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ান। বাবা হাসপাতালে আর তিনি মাঠে নেমে খেলছেন, নিজেই মেনে নিতে পারেননি দীপক চাহার (Deepak Chahar)। তবে আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ও আমেরিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে জায়গা পেতে মরিয়া পেসার অলরাউন্ডার।


ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারতীয় দলে (Team India) সুযোগ পেয়েও সরে দাঁড়াতে হয়েছিল দীপককে। তারপর ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজেও খেলতে পারেননি। বাবা ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এখন সেরে উঠেছেন দীপকের বাবা। অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন দীপকও। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আর কোনও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে না ভারতীয় দল। তাই জাতীয় দলে জায়গা পেতে চাহারের হাতে থাকছে শুধু আইপিএল।


সংবাদসংস্থাকে এক সাক্ষাৎকারে চাহার বলেছেন, 'আমার কাছে বাবাই সবার আগে। তাঁর জন্যই আমার এই পর্যন্ত আসা। যা কিছু অর্জন করেছি সবই বাবার জন্য। সেই সময় বাবার পাশে না থাকলে কী ছেলে আমি?' দীপক যোগ করেছেন, 'সিরিজটা যদি ভারতে হতো, আমি নিশ্চয়ই খেলার চেষ্টা করতাম। হাতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় থাকলেও হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়া যেত। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরতে ২-৩ দিন লেগে যেত। ছেলে হিসাবে বাবার পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল। যে কোনও ছেলে সেটাই করবে।'


চাহার জানিয়েছেন, ফিটনেস ট্রেনিংয়ের বাইরে খুব একটা কিছু প্র্যাক্টিস করতে পারেননি। তবে নিজেকে চূড়ান্ত ঘষামাজা করার জন্য বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চাহার। পাখির চোখের মতো দেখছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়াকে।


চাহার বলেছেন, 'হাসপাতালে বাবার সঙ্গে ২৫ দিন ছিলাম। আলিগড়ে ভর্তি করা হয়েছিল বাবাকে। আমাদের সকলকেই সেখানে থাকতে হয়েছিল।' যোগ করেছেন, 'আমি শুধু শরীরচর্চা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। ক্রিকেটীয় কোনও ড্রিল করিনি। সেই জন্যই আফগানিস্তান সিরিজের জন্য আমি তৈরি ছিলাম না। মাসখানেক আমি প্র্যাক্টিস করিনি। তারপর আমি এনসিএ-তে যাই। ফের প্র্যাক্টিস শুরু করি। এখন আমি পুরো ফিট। সব কিছু ভাল হচ্ছে। কঠোর ট্রেনিং করছি। আইপিএল ও বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে।'


গত দু'টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চোট-আঘাতের জন্য খেলতে পারেননি দীপক। তাই এবার বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেতে মরিয়া। চাহার বলেছেন, 'চোট আঘাতের জন্য দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারিনি। পুরোপুরি ফিট থাকলে আমিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকতাম। পরিস্থিতি বা টিম কম্বিনেশন যেমনই হোক না কেন, ৭, ৮ বা ৯ নম্বরে ব্যাট করতে পারে এরকম একজন বোলার সবাই খেলাতে চাইবে। আমি সেটা করেছি এবং ভারতীয় দলের হয়ে রানও করেছি।'



আরও পড়ুন: এক বছর আগেও ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী, বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার দর্পচূর্ণ করে রাতারাতি নায়ক শামার


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে