গুয়াহাটি: ট্যাম্পাইন রোভার্সের কাছে ২-১ গোলে হেরে এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিল মোহন বাগান।


এদিন গুয়াহাটিতে শেষ ১৬-র ম্যাচে প্রায় ভাঙা দল নিয়ে খেলতে নামে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও, কোনও পক্ষই গোলের মুখ খুলতে পারেনি।

ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় লিভারপুল তারকা জার্মেইন পেনান্টের ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ১০ মিনিট পর কর্নার থেকে জেজের হেড প্রতিহত করেন ট্যাম্পাইন্সের কিপার মুখতার।

৪৩ মিনিটে ফের গোলের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল ট্যাম্পাইন্স। ডাউন দ্য মিডল দৌড় দিয়ে বাগানের ঘুমন্ত ডিফেন্সকে চিরে বক্সে দারুন পাস বাড়িয়েছিলেন প্রাক্তন লিভারপুল তারকা জার্মেইন পেনান্ট। কিন্তু ফাজল নাওয়াজের শট পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে, ৫৩ মিনিটের মাথায় লালকার্ড দেখে শাকির হামজা মাঠ ছাড়ায় ১০ জনে নেমে যায় ট্যাম্পাইন্স। কিন্তু, তা সত্বেও রক্ষণাত্মক না খেলেও প্রতি-আক্রমণ নির্ভর খেলা শুরু করে ট্যাম্পাইন্স।

৬৩ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় সিঙ্গাপুরের দলটি। জর্ডান ওয়েবের ক্রসের ফ্লাইট মিস করেন বাগান গোলকিপার অর্ণব দাস। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরানোর খুব কাছাকাছি চলে আসে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু, এবারও ধনচন্দ্রের হেড অসাধারণ সেভ করেন ট্যম্পাইন কিপার।

তবে, ৭২ মিনিটে বিক্রমজিতের ৩৫-গজের শট ট্যাম্পাইনের জালে আছড়ে পড়লে সমতায় পেরে বাগান। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-১ ফল থাকায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।

১১২ মিনিটে পায়ের পেশিতে টান ধরায় মাঠ ছাড়েন বিক্রমজিত। কিন্তু, কোচ সঞ্জয় সেন সব বদল আগে করে দেওয়ায় ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিট দশজনে খেলে মোহন বাগানকেও।

এখানেই ম্যাচ ঘুরে যায়। বাগানের অতি-রক্ষণশীলতার ফয়দা তুলে ১১৭ মিনিটে পেনেন্টের মাপা পাস থেকে বলকে নির্ভুল ঠিকানায় পাঠাতে ভুল করেননি আফিক ইউনুস।

বাগানের আক্রমণের মূল স্তম্ভ হাইতির সনি নর্ডি জাতীয় দলের খেলার জন্য দেশে ফিরে গিয়েছেন। চোটের জন্য বাইরে কাতসুমি। প্রথম দলের গোলকিপার দেবজিত মজুমদার বিশ্রামে। ফলে এদিনের ম্যাচে প্রথম একাদশের অনেককেই মাঠে নামাতে পারেননি বাগান কোচ।