মুম্বই: ব্যাটিং ব্যর্থতাই যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হারের অন্য়তম কারণ, তা স্বীকার করে নিলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের (Indian Womens Cricket Team) অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে মহিলা ভারতীয় দল। পরপর দুটো ম্য়াচ জিতে সিরিজও খোয়াতে হয়েছে স্মৃতি, দীপ্তিদের। প্রথম ম্য়াচে যদি ফিল্ডিং চিন্তার কারণ হয়ে থাকে, তবে দ্বিতীয় ম্য়াচে মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল হরমনপ্রীত ব্রিগেড। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারালেও ১১.২ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।


ম্য়াচের শেষে হরমনপ্রীত কৌর বলেন, ''আমরা বরাবরই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি প্রথম থেকে। কিন্তু আমাদের অনেকেই বল ঠিকঠাক বুঝতে পারেনি ব্যাট চালানোর সময়। এমনকী ওদের বোলাররাও একেবারেই আমাদের খোলা মনে খেলার সুযোগ দেয়নি। হাত খোলার সুযোগ দেয়নি সেভাবে।'' রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডও ৬ উইকেট খুঁইয়ে ফেলেছিল। সে প্রসঙ্গে টেনে হরমনপ্রীত বলেন, ''আমার মনে হয় আর ৩০-৪০ রান কিছুটা ব্যবধান গড়ে দিতে পারত ম্য়াচটার। আমরা ৪০ রানের মত কম করেছি। তবে আমি আমার দলের মেয়েদের নিয়ে গর্বিত। ওরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে গিয়েছে।''


গতকাল ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হেদার নাইট। নতুন বল হাতে চার্লি ডিন অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণিত করে দুই ভারতীয় ওপেনারকেই ফেরান। শেফালি ভার্মা খাতার খোলার আগেই ফেরেন। ১০ রানে আউট হন স্মৃতি মান্ধানা। এমনকী জেমাইমা রডরিগেজ় বাদে কোনও ভারতীয় ব্যাটার দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি। জেমাইমা লড়াকু ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে চার্লি, লরেন বেল সোফি একেলস্টোন এবং সারা গ্লেন দুইটি করে উইকেট নেন। ১৬.২ ওভারেই অল আউট হয়ে যায় ভারতীয় দল।অল্প রানের পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নেমে ভারতীয় দলও শুরুটা দারুণ করেন। রেণুকা ঠাকুর দুই ইংল্যান্ড ওপেনার সোফিয়া ডাঙ্কলি ও ড্যানি ওয়াইটকে যথাক্রমে নয় ও শূন্য রানে আউট করেন। তবে অ্যালিস ক্যাপসি ও ন্যাট স্কিভার-ব্রান্টের তৃতীয় উইকেটে ৪২ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের জয় সুনিশ্চিত করে। তরুণ তুর্কি অ্যালিস ও অভিজ্ঞ ন্যাট বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজেই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। ৬.২ ওভারে ৫০ রানের গণ্ডি পার করে ইংল্যান্ড। পূজা বস্ত্রকর অ্যালিসকে ১৬ রানে আউট করা পার্টনারশিপ ভাঙে। একদম শেষের দিকে ১২ রানের বিনিময়ে ভারতীয় দল চার উইকেট নিলেও, তাতে লাভের লাভ হয়নি।