নয়াদিল্লি: রিও অলিম্পিকের পর এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দীপা কর্মকার জানিয়েছিলেন, টোকিও অলিম্পিকে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভল্টের চেষ্টা করবেন তিনি। তাঁর নামেই সেই ভল্টের নাম যাতে ‘কর্মকার ভল্ট’ হিসেবে পরিচিত হয়, সেটাই তাঁর লক্ষ্য থাকবেন। এবার সেই ভল্টের জন্য তৈরি হচ্ছেন আগরতলার বাঙালি জিমন্যাস্ট। এই ভল্টের নাম হ্যান্ডস্প্রিং ৫৪০। দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী জানিয়েছেন, হ্যান্ডস্প্রিং ৫৪০ ভল্টই হতে চলেছে দীপার চমক। এই ভল্টই ‘কর্মকার ভল্ট’ হিসেবে পরিচিত হতে পারে। দু মাস পর থেকেই এই নতুন ভল্ট আয়ত্ত করার জন্য অনুশীলন শুরু করবেন দীপা।


আরও পড়ুন, টোকিও অলিম্পিকে দীপার চমক হতে পারে ‘কর্মকার ভল্ট’

প্রোদুনোভার হাত ধরেই রিও অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিক্স ফ্লোরে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন দীপা। কিন্তু এবার তিনি নতুন কিছু করে দেখাতে মরিয়া। প্রোদুনোভাকে পুরোপুরি বিদায় জানাবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি দীপা ও তাঁর কোচ। তাঁরা একাধিক ভল্ট নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন। অনুশীলন করার পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বিশ্বেশ্বর।

রিও অলিম্পিকে চতুর্থ হওয়ার পর থেকেই চোট-আঘাতে ভুগছেন ত্রিপুরার এই বাঙালি জিমন্যাস্ট। ডান হাঁটুতে অ্যান্টেরিয়র ক্রুশিয়াল লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে অলিম্পিকের পর আর কোনও প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারেননি তিনি। এ বছরের এপ্রিলে পায়ে অস্ত্রপোচারের কারণে নামতে পারেননি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে। থাকছেন না কানাডার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও। ২০১৮-তে অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ গেমসেই দেখা যাবে তাঁকে। সেখানেই তাঁর সেরা অস্ত্র হতে চলেছে হ্যান্ডস্প্রিং ৫৪০।

দীপা জানিয়েছেন, ‘হ্যান্ডস্প্রিং ৫৪০ হল শূন্যে ৫৪০ ডিগ্রি ট্যুইস্ট। এটাও অত্যন্ত কঠিন ভল্ট। তবে, প্রোদুনোভার থেকে এতে জীবনের ঝুঁকি কম।’ কিন্তু যে প্রোদুনোভার হাত ধরে তাঁর স্বপ্নের উড়ান, কেন সেটা ছাড়বেন দীপা? এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘লিগামেন্টে চোটের জন্য প্রোদুনোভার চাপ নিতে পারছি না। আমার লক্ষ্য এখন ২০২০ অলিম্পিক। কমনওয়েলথে আমি যদি ঠিকমতো পারফর্ম করতে পারি, তাহলে পদক আসবেই। পাশাপাশি প্রোদুনোভাও চালিয়ে যাব।’

গ্লাসগো কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ এসেছিল দীপার হাত ধরে। রিও অলিম্পিকে পদক না এলেও, প্রোদুনোভার হাত ধরে ইতিহাস গড়েন তিনি। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় কি সোনা উঠবে দীপার হাতে? আশায় গোটা দেশ।