বাকু: মাত্র ১৯ বছর বয়স। আর এই বয়সেই দাবায় ইতিহাস গড়লেন ভারতের দিব্যা দেশমুখ। FIDE Women’s World Cup 2025 টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারিয়ে দিলেন স্বদেশীয় কোনেরু হাম্পিকে। খাতায় কলমে হাম্পিই এগিয়ে ছিলেন ম্য়াচে। কিন্তু টাই ব্রেকে শেষ পর্যন্ত ম্য়াচ পকেটে পুরে নেন দিব্যা। খেলার ফল দিব্যার পক্ষে ১.৫-০.৫। 

শনিবার প্রথম খেলায় সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলছিলেন দিব্যা। শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাম্পি যদিও ম্য়াচে ফিরে এসেছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে। রবিবার দ্বিতীয় খেলাটিতে দুজনেই সমানে সমানে লড়াই করেন। দুটো ক্লাসিক্যাল গেম ড্র হয়। এরপর খেলা গড়িয়েছিল সোমবার। টাইব্রেকারেও ফের সাদা ঘুঁটি নিয়েই নিজের খেলা শুরু করেছিলেন দিব্যা। প্রথম র্যাপিড গেমটি ড্র হয়। তবে পরের গেমে কালো ঘুঁটি নিয়ে ম্য়াচে বাজিমাত করে দেন দিব্যা। ভারতের চতুর্থ মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে গেলেন দিব্যা। অন্যদিকে দেশের মোট ৮৮তম গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন তিনি।

এছাড়াও প্রথমবার মহিলা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন পেল ভারত। দিব্যাই সেই ইতিহাস গড়লেন। ম্যাচের পর চোখে জল দেখা যায় দিব্যার। মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন দীর্ঘক্ষণ। তিনি বলেন, ''টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমি শুধু ভাবছিলাম যে এখান থেকে আমি গ্র্যান্ডমাস্টার পর্বে খেলার জন্য হয়ত উন্নীত হতে পারব। কিন্তু টুর্নামেন্টের শেষে আমিই গ্র্যান্ডমাস্টার এখন। এর থেকে ভাল অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না।''

ক্রমতালিকার বিচারে কোনেরু হাম্পি অনেক এগিয়ে ছিলেন দিব্যার থেকে। দুবারের বিশ্ব র্যাপিড চ্যাম্পিয়ন হাম্পি বর্তমানে ক্লাসিকাল দাবায় বিশ্বের ৫ নম্বর। অন্য়দিকে দিব্যা ক্রমতালিকায় রয়েছে ১৮ নম্বর স্থানে। তবে শেষ পর্যন্ত হাম্পিকে হার মারতে হল তারুণ্যের সামনে। ৩৪ চালের পর হাম্পিকে কিস্তিমাত করেন দিব্যা। হাম্পি অভিজ্ঞ হলেও গোটা ম্য়াচে বেশি দুর্ধর্ষ চাল চালেন দিব্যাই। বিশেষ করে কালো ঘুঁটি নিয়ে যখন খেলছিলেন দিব্যা। বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। 

 

গত বছর নাগপুরের এই তরুণী বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জিতেছিলেন দিব্যা। ২০২৪ সালে বুদাপেস্টে হওয়া চেস অলিম্পিয়াডেও দারুণ পারফর্ম করেছিলেন। ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা জিতেছিলেন দিব্যা।