সেঞ্চুরিয়ন: সুপার স্পোর্টস পার্কে টি ২০ সিরিজে ভারতকে হারিয়ে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের শেষে ভারতীয় ব্যাটসম্যান মণীষ পান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের প্রশংসা করলেন। তিনি বলেছেন, প্রোটিয়া বোলাররা ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন।
সেঞ্চুরিয়নে এই হারে আদৌ হতাশ নয় ভারতীয় শিবির। কেপটাউন ম্যাচে দল ভালো ফল করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পান্ডে। তিনি বলেছেন, সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আমরা পারফরম্যান্সে উন্নতি করে জয়ের লক্ষ্যে নামব। আমরা ভেবেছিলাম ওরা কিছুটা স্লোয়ার বল করবে, কিন্তু ওরা তা করেনি। আশা করব, পরের ম্যাচে আমরা ভালো খেলব।
গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে। এই অবস্থায় কেপটাউনের ম্যাচই হয়ে উঠল সিরিজ নির্ণায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক হেনরিক ক্লাসেন। ৩০ বলে ৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটা ওভারবাউন্ডারি, তিনটে বাউন্ডারি।ম্যান অফ দ্য ম্যাচও ক্লাসেনই। ক্লাসেন সব চেয়ে বেশি নির্দয় ছিলেন যুজবেন্দ্র চহালের ওপর। ক্লাসেন আউট হওয়ার পরে দায়িত্ব নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক জে পি ডুমিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯ নম্বর ওভারে পর পর দু’টো ছয় মেরে ছ’ উইকেটে ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন ডুমিনি। ভারতের চার উইকেটে ১৮৮ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮.৪ ওভারে করে ১৮৯-৪।
এই ম্যাচে যশপ্রীত বুমরা খেলেননি ফিট না থাকায় তাঁর জায়গায় নামা শার্দূল ঠাকুরকে খেলানো হয়। খুব খারাপ বল করেননি ঠিকই, কিন্তু বুমরার অভাব মেটাতে পারেননি। তবে ভারত সব চেয়ে বড় ধাক্কা খায় মিডল ওভারে। যে লেগস্পিনার ওয়ান ডে-তে ভারতের বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছিল, সেই চহাল কোনও রকম দাগ কাটতে পারেননি এ দিন। চার ওভারে চহাল দিলেন ৬৪ রান। যেখানেই ম্যাচটা বার করে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।


দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৮ রান করল ভারত।এদিন টসে জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ক জাঁ পল ডুমিনি। শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি মেন ইন ব্লু-দের। স্কোরবোর্ড সচল হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রোহিত শর্মা। প্রথম ওভার মেডেন হওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের এদিন প্রথম বলেই আউট হন তিনি। তিন নম্বরে নামেন সুরেশ রায়না। অপর ওপেনার শিখর ধবনের সঙ্গে ইনিংস গড়তে শুরু করেন তিনি।
দলের ৪৪ রানের মাথায় আউট হন শিখর ধবন (১৪ বলে ২৪)। বেশিক্ষণ টেকেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। এদিন মাত্র ১ রান করেই আউট হন তিনি। তবে, ভাল খেলছিলেন রায়না। পাঁচটি চারও মারেন। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল, নিজের ফর্ম ফিরে পাচ্ছেন, সেই সময়ে ঘটে ছন্দপতন। (২৪ বলে ৩১) করে আউট হন তিনি।



এখান থেকেই ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন মণীশ পাণ্ডে ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে করেন ৯৮ রান। এদিন দুর্ধর্ষ মেজাজে ছিলেন মণীশ। ৪৮ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায়। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহি। মাত্র ২৮ বলে ৫২ রান করেন তিনি। মারেন ৩টি ছয় ও ৪টি চার।
ভারতীয় দলে একটি পরিবর্তন করা হয়েছে। জসপ্রীত বুমরাহের জায়গায় দলে ঢুকেছেন শার্দুল ঠাকুর। পেটের পেশীতে টান ধরায় বিশ্রাম দেওয়া হয় বুমরাহকে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।