কলকাতা: এই লড়াই মাঠের লড়াই। এই লড়াই আবেগের লড়াই। এই লড়াই আত্মসম্মানের লড়াই। এই লড়াই ডার্বি। ফুটবল প্রিয় বাঙালির চিরন্তন যুদ্ধ। আগামীকাল যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2023) ডার্বি। মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টেবঙ্গল ও মোহনবাগান (East Bengal FC vs Mohun Bagan Supergiatns)। লাল হলুদ শিবির বাংলাদেশে সেনা দলের বিরুদ্ধে ড্র করার পর রেলওয়ে এফসির বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেয়। অন্যদিকে, মোহনবাগান এফসি বাংলাদেশ সেনা দলের বিরুদ্ধে ৫-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। এরপর পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধেও ২-০ গোলে জয় পেয়েছে তারা। অর্থাৎ চলতি টুর্নামেন্টে লাল হলুদ বাহিনী যেখানে ২ ম্য়াচ খেলে একটিতে জয় পেয়েছে সেখানে বাগান শিবির ২ ম্যাচ খেলে দুটো ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের সাম্প্রতিক রেকর্ড একদমই আশানুরুপ নয়। শেষ ৮ বারের সাক্ষাতে একবারও জয় পায়নি তারা। এই মরসুম নতুন কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের অধীনে খেলতে নামবে দল। দলের ফুটবলাররাও অনভিজ্ঞ। এই দলের মাত্র ২ জন এর আগে ডার্বিতে খেলেছেন। ফেরান্দোর অধীনে সেখানে ডার্বি জিতেছে মোহনবাগান দল। এছাড়াও দলের বেশিরভাগ ফুটবলার দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে এক ক্লাবে খেলায় একটা বোঝাপড়া ভাল তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিঃসন্দেহে খাতায় কলমে সবুজ মেরুন বাহিনীই যে এগিয়ে থাকবে তা বলাই যায়।
দু দলের শক্তি-দুর্বলতার তুলনা টানতে গেলেও এগিয়ে থাকবে সবুজ মেরুন বাহিনীই। দিমিত্রি, গ্লেন মার্তিন্স, আশিকরা রয়েছেন। এছাড়াও মনবীরের মত ফুটবলার রয়েছেন যে গোলমুখটা খুব ভাল করে চেনেন। হুগো বুমোস রয়েছেন মাঝমাঠ সামলানোর জন্য। ডার্বিতে জ্বলে উঠতে পারেন অনিরুদ্ধ থাপাও। ভারতীয় দলেও দাগ কেটেছেন। লিস্টন কোলাসো ও সাহাল আব্দুল সামাদ দুই উইঙ্গার হিসেবে খেলবেন। অন্যদিকে লাল হলুদ শিবিরে ক্লেটন সিলভাকে ছাড়াই হয়ত নামতে হবে কুয়াদ্রাতের দলকে। ক্রেসপো, নন্দকুমার, নাওরেম ও খাবরার দিকে তাকিয়ে থাকবেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
টিকিট নিয়ে একটা সমস্যা দেখা গিয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। ভিআইপি টিকিট থেকে শুরু করে কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের সংখ্যা নিয়ে ২ ক্লাবই অসন্তুষ্ট ছিল। জানা গিয়েছে, ২ প্রধানকে ডুরান্ড কমিটির তরফে ৪ হাজার কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা একেবারেই পছন্দ হয়নি কোনও ক্লাবেরই। তাঁদের দাবি ছিল অন্তত ৬ হাজার কমপ্লিমেন্টারি টিকিট যাতে বিলি করা হয়। এই ইস্যুতে অরূপ বিশ্বাসের অফিসে সেনাবাহিনী ও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু লাল হলুদের কর্তারা এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে তাঁরা বৈঠকের মাঝপথেই ওয়াক আউট করে যান। পর্যাপ্ত টিকিট না পেলে তাঁরা মাঠে যাবেন না এমনও জানিয়েছিলেন।
এদিকে, ম্যাচের আগের দিন ভোর পাঁচটা থেকেই ময়দানের টিকিটের জন্য ২ প্রধানের সমর্থকদের লাইন ছিল চোখে পড়ার মত। তবে অনেকেই টিকিট কাটতে এসেও তা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরলেন। অন্যান্যবার অনলাইনে টিকিটের বন্দোবস্ত থাকে, তবে এবার শুধুমাত্র অফলাইনেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।