সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : ১৩২তম ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) অভিনব উদ্বোধন। ট্রফি নিয়ে কলকাতার সর্বোচ্চ বহুতল থেকে ঝাঁপ দুই প্রাক্তন সেনাকর্তার। অভিনব উদ্যোগ ভারতীয় সেনাবাহিনীর। ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ গ্রুপ ক্যাপ্টেনের।


ডুরান্ড কাপ। এশিয়ার সব চেয়ে পুরনো টুর্নামেন্ট। সেই কাপের এবার ১৩২ তম সংস্করণের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে অভিনব উদ্যোগ নিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। পূর্ব ভারতের সবথেকে উঁচু বহুতল তথা পার্ক স্ট্রিটের বহুতল থেকে হল বেস জাম্পিং। অংশ নেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সত্যেন্দ্র বর্মা ও অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন কমল সিং ওবার।


খারাপ আবহাওয়ার কারণে বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার পর তাঁরা একে একে বেস জাম্পিং করেন। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বেস জাম্প। সফলভাবে জাম্প করার পর অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্তা একে অপরকে অভিনন্দন জানান। উপস্থিত ছিলেন সেনার আরও অনেক অফিসার। এই বেস জাম্প দেখার জন্য অনেকেই হাজির হন কলকাতায়। তাঁদের বক্তব্য, ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এই আয়োজন বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করল।


গত বছর ১৬ অগাস্ট, কলকাতায় শুরু হয় ১৩১ তম ডুরান্ড কাপ। ওইদিন যুবভারতীতে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় মহমেডান ও এফসি গোয়া। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই উদ্বোধন হয় ঐতিহ্যশালী এই ফুটবল টুর্নামেন্টের। নিজে ফুটবলে লাথি মেরে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন মমতা। নিজের ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, '' আমি ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানটি একটি অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু হয়। যা সবাইকে উৎসাহিত করেছে। অনুষ্ঠান চলাকালীন, আমি ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। তারপরে, আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সবসময় খেলাধূলো সংক্রান্ত সব বিষয়ে সাহায্য করেছে। বাংলার ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভবিষ্যতেও আমরা এইভাবেই পাশে থাকব।" ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তখন জানান, ''ডুরান্ড কাপ ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্ট। আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট কলকাতাতেই হব। এটা খুবই ভাল খবর।''


গতবারের ডুরান্ড কাপে ৪টি গ্রুপে খেলে মোট ২০টি দল। তার মধ্যে ১১টি দল আইএসএলের, ৫টি দল আইলিগের এবং ৪টি সেনাবাহিনীর দল। গতবারের বিশেষে আকর্ষণ ছিল ২৮ অগাস্টের মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বি। খেলা হয় যুবভারতীতে।  


ঠিক হয়, স্বাধীনতা ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজাদি কা অমৃত মহোত্সবের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি ম্যাচর আগে গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। কলকাতার পাশাপাশি খেলা হয় গুয়াহাটি ও ইম্ফলে। ১৮ সেপ্টেম্বর ফাইনাল হয় যুবভারতীতে।