কলকাতা: আশির দশকে ময়দানের তিন বড় ক্লাবের হয়েই মাঠ কাঁপিয়েছেন। খেলছেন ভারতীয় জাতীয় দলের (Indian Football Team) হয়েও, সেই মাঠ কাঁপানো ফরোয়ার্ড নরিন্দর থাপা (Narinder Thapa) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শুক্রবার (৫ অগাস্ট) দিনই তাঁর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতের দিকেই নরিন্দর হৃদরোগে অসুবিধে বোধ করেন। তারপর তাঁকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময়টুকুও পাওয়া যায়নি। ৬০-র গণ্ডি পেরোনোর আগেই নরিন্দরের এই অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া গোটা কলকাতা ময়দান চত্বরে। শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফেও। ফেডারেশন সচিব সুনন্দ ধর বলেন, 'তিনি নেই এটা জানতে পেরে ভীষণ খারাপ লাগছে। উনি নিজের সময়ে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। একাধিক প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা এই তারকার ভারতীয় ফুটবলে অবদান ভোলার মতো নয়। উনার আত্মার শান্তি কামনা করি।'
বাংলার হয়ে ১৯৮৬ সালে সন্তোষ ট্রফি জিতেছিলেন নরিন্দর। এরপর আর দুই প্রধান মোহনবাগান, মহামেডানের হয়ে, ফেডারেশন কাপ, রোভার্স কাপ, আইএফএ শিল্ডও জিতেছিলেন তারকা ফরোয়ার্ড নরিন্দর থাপা। আদতে পঞ্জাবের বাসিন্দা হলেও, তিনি বহুদিন ধরেই পাকাপাকিভাবে বাংলায়ই থাকতেন। ফুড কর্পারেশন অফ ইন্ডিয়ার হয়ে চাকরিও করতেন এখানেই। অবসরের এখনও বছর দু'য়েক বাকি ছিল। তবে স্ট্রোকের জেরে ডান দিক অসাড় হয়ে গিয়েছিল। লিখতেন বাঁ-হাতে।
১৯৮৩ সালে ভারতের হয়ে অভিষেকের পর জাতীয় দলের হয়ে ২৯টি ম্য়াচ খেলে তিনটি গোল করেছিলেন নরিন্দর। ১৯৮৪ সালে গ্রেট ওয়াল কাপে বেজিংয়ে আলজিরিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর একমাত্র গোলেই আফ্রিকার শক্তিধর দেশকে হারিয়েছিলে ভারত। ১৯৮২ সালেই বিশ্বকাপ খেলেছিল সেই দল। থাপার কেরিয়ারের এটি সেরা উপলব্ধিদের মধ্যে অন্যতম হিসাবেই ধরা হয়। লড়াকু মানসিকতার ফুটবলার হিসাবে পরিচিত নরিন্দর বহুদিন অসুখের লড়াই করছিলেন। তবে শেষমেশ আর পারলেন না।
আরও পড়ুন: দাপুটে জয়ে প্রি-কোয়ার্টারে লক্ষ্য সেন, কোয়ালিফাই করলেন আকর্ষিও