কলকাতা: শনিবার কলকাতায় আবার ডার্বি। যে জন্য গোটা কলকাতা, তথা গোটা বাংলা ফের দ্বিখণ্ডিত। ময়দানে টিকিটের জন্য চেনা হাহাকার, চেনা সর্পিল লম্বা লাইন, একে অপরকে দেখে দুই দলের সমর্থকদের আস্ফালন, শহরের আনাচে কানাচে ঘটি-বাঙালের অঘোষিত যুদ্ধ, কোথাও তা অম্ল-মধুর, কোথাও বেশ সরগরম।


শনিবার বিকেলে সারা শহরের সব পথ গিয়ে মিশবে একই গন্তব্যে, বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন বা সল্টলেক স্টেডিয়াম। বেজে উঠবে একশো বছরেরও বেশি বয়সি ফুটবল যুদ্ধের দামামা। যাকে কেউ বলে ডার্বি, কেউ বলে বড়ম্যাচ। তবে এটিই যে জনপ্রিয়তায় ও ঐতিহ্যে এশিয়ার সেরা ফুটবল ডার্বি, এই নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। মাঠের বাইরে দুই ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে যতই যুদ্ধংদেহী মেজাজ থাকুক, গত কয়েক বছর ধরে ডার্বিতে কিন্তু মাঠে সেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উদাও। গত আটটি ডার্বিতে টানা জিতে আসছে সবুজ-মেরুন শিবির, এই মরশুম থেকে নাম বদলে যারা হয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।


কাদের ম্যাচ?


আজ ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান দ্বৈরথ









সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচ





কখন শুরু ম্যাচ?




ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৪.৪৫ এ ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা


কোথায় দেখবেন ম্যাচ?


সোনি টেন ২, সোনি টেন ২ এইচ ডি


অনলাইন স্ট্রিমিং


সোনি লিভে অনলাইন স্ট্রিমিং হবে এই ডার্বির


১৩৫ বছর বয়স যে টুর্নামেন্টের, সেই ডুরান্ড কাপে একশো বছরেরও বেশি সময়ের এক চিরপ্রতিদ্বন্দিতা। কলকাতা ডার্বি ছাড়া এমন এক ঐতিহাসিক মিলনমেলা আর কোথায়ই বা পাওয়া যাবে? সেই ১৯৫৭-য় ডুরান্ড সেমিফাইনালে প্রথম দেখা কলকাতার দুই ফুটবল-দৈত্যের। তার পর থেকে এই টুর্নামেন্টে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট কুড়িবার। আটবার জিতেছে লাল-হলুদ শিবির ও সাতবার সবুজ-মেরুন বাহিনী। ড্র হয়েছে পাঁচবার। গত বছরও গ্রুপ পর্বেই দুই দলের লড়াই হয়। তাতে ১-০-য় জিতেছিল তৎকালীন এটিকে মোহনবাগান। এ বার কী হবে?


টুর্নামেন্ট যে ভাবে শুরু করেছে গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা, টানা দু’টি ম্যাচে হারিয়েছে যথাক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (৫-০) ও পাঞ্জাব এফসি-কে (২-০) তাতে তাদের অপ্রতিরোধ্য মনে হতেই পারে। একসঙ্গে তিন-তিনটি প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখে মাঠে দল নামাতে হচ্ছে তাদের কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে। একদিকে চলতি কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড কাপ। অন্যদিকে আসন্ন এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্ব, আগামী বুধবারই যার প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ফেরান্দোর দল। এ মরশুমে আইএসএলের মতোই তারা গুরুত্ব দিচ্ছে এএফসি কাপকেও। তার ঠিক আগে মরশুমের প্রথম ডার্বি, যাকে কম গুরুত্ব দেওয়ার কোনও জায়গাই নেই।